শ্রাবণ্য রায়, কলকাতা
অলাভজনক আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে অন্তত ৬০০০টি স্টপেজ বন্ধ করে দিতে চলেছে ভারতীয় রেল। এই স্টপেজগুলিতে আর ট্রেন দাঁড়াবে না। ট্রেনের গতি বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। লকডাউন পরবর্তী অধ্যায়ে এই ব্যবস্থা চালু হবে।
রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান ভিকে যাদব এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে গত বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের জানান যে মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের জন্য এবার আলাদা পথ নির্দিষ্ট হবে। মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন ও তার ট্র্যাকের মেইনটেন্যান্সের জন্যও আলাদা আলাদা সময় নির্দিষ্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন ভিকে যাদব।
লকডাউন পরবর্তী রেলের সময়সারণিতে বড়সড় পরিবর্তন ঘটতে চলেছে। রেলের আগের টাইম টেবিলের সঙ্গে এই নতুন সময়সূচির বিশাল ফারাক থাকবে বলে রেলসূত্রে জানা গিয়েছে। ট্রেনে গতি আনতে বহু স্টেশন ও স্টপেজ তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্তত ছয় হাজার স্টপেজ তুলে দেওয়া হবে বলে খবর। এই স্টপেজগুলি অলাভজনক হওয়ায় সেখানে অপ্রয়োজনে ট্রেন দাঁড়ালে অকারণে ট্রেনের দেরি হচ্ছে। সেই কারণে গোটা দেশে অন্তত ৬০০০ স্টপেজ চিহ্নিত করে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কোনও স্টপেজে যদি সারা দিনে ৫০ জন যাত্রীও ট্রেন থেকে ওঠা-নামা না করেন, তাহলে সেই স্টেশন বা স্টপেজকে অলাভজনক হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। লকডাউন পরবর্তী সময়ে এই স্টপেজগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান ভিকে যাদব এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান যে মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের জন্য এবার আলাদা পথ নির্দিষ্ট হবে। মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন ও তার ট্র্যাকের মেইনটেন্যান্সের জন্যও আলাদা আলাদা সময় নির্দিষ্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন ভিকে যাদব। রেলের ভাষায় এই বিষয়টি করিডর ব্লক হিসেবে পরিচিত।
পূর্ব রেলে ছাঁটাইয়ের নির্দেশ সেফটি পদেও ঃ করিডর ব্লক কয়েক বছর আগে ভারতীয় রেলে বিদ্যমান ছিল। কিন্তু পরে ট্রেনের সংখ্যা অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় এই ব্যবস্থা তুলে দিতে হয়। রেলের এই নয়া টাইম টেবিল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আইআইটি-মুম্বইয়ের সাহায্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। লকডাউনের মধ্যে রেলের এই নয়া টাইম টেবিল তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। লকডাউন পরবর্তী অধ্যায়ে তা কার্যকর করা হবে। করোনা পরিস্থিতির পর কবে ট্রেন আবার তার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে, সেটাই এখন দেখার।
সূত্রের খবর, ট্রেনে ওঠা অথবা ট্রেন থেকে নামা যাত্রীর সংখ্যার উপর নির্ভর করে মধ্যবর্তী স্টেশনগুলিতে ট্রেন কতক্ষণ দাঁড়াবে বা আদৌ দাঁড়াবে কি না, তা ঠিক করবে রেল। বলা হয়েছে, ‘সপ্তাহে একদিন বা দুই দিন চলাচলকারী কয়েকটি ট্রেন বন্ধ করতে সমস্যা হবে না। রাজনৈতিক কারণে অতীতে বেশ কিছু স্টেশনে মেল-এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড় করানো বাধ্যতামূলক হয়েছিল।’
মধ্যবর্তী স্টেশনের সংখ্যা কমলে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি আরও বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে। যাদব জানিয়েছেন, ভারতীয় রেলওয়ের নতুন টাইমটেবিলের আওতায় থাকবে বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত ১৫১টি ট্রেনও।