1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১২:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
র‌য়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির নতুন ৪ বাইকের যত ফিচার ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা

কংক্রিটের সড়ক হবে হাটবাজার এলাকায় 

শিমুল মাহমুদ
  • আপডেট : সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০২০

দেশের সড়ক-মহাসড়ক সংলগ্ন হাট-বাজার এলাকাগুলোতে পর্যায়ক্রমে কংক্রিটের সড়ক নির্মাণ করা হবে। টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের ঝামেলা এড়াতে কংক্রিটের সড়ক নির্মাণে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারসংলগ্ন এলাকায় কংক্রিটের সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) তাদের আওতাধীন এলাকায় কংক্রিটের সড়ক নির্মাণ করছে। প্রাথমিকভাবে বিটুমিনের চেয়ে কংক্রিটের সড়ক নির্মাণ ব্যয় বেশি হলেও আয়ুষ্কাল বেশি হওয়ায় এটিকে বিবেচনায় আনা হচ্ছে। বর্তমানে কুমিল্লা-নোয়াখালী চার লেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে অন্তত : ৮ কিলোমিটার সড়ক কংক্রিটে নির্মাণ করা হচ্ছে। সড়ক প্রকৌশলীরা জানান, সাধারণত : হাট-বাজার সংলগ্ন এলাকার সড়কগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেগুলো অন্য এলাকার চেয়ে অনেক বেশি রক্ষণাবেক্ষণ করতে  হয়। বিশেষ করে বাজারের ময়লা আবর্জনা, পানি এবং ফলমূলের উচ্ছিষ্ট নিয়মিত সড়কে ফেলার কারণে সেই সড়ক অল্প সময়েই ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বাজার এলাকার সড়কগুলো কংক্রিটের উপকরণ দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা যায়, কুমিল্লা-নোয়াখালী চার লেন প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশজুড়ে কংক্রিটের সড়ক হচ্ছে। নির্মাণাধীন চার লেনের এ মহাসড়ক প্রকল্পের জায়গায় জায়গায় রডের খাঁচার সঙ্গে পাথর ও সিমেন্টের মিশ্রণ ঢালাই দিয়ে রাস্তার পাশেই তৈরি হয়েছে কংক্রিটের স্লাব। সেটি বসিয়ে দেওয়া হয়েছে মূল রাস্তায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা বিশ্বরোড পদুয়ার বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন অংশে এ কংক্রিটের সড়ক নির্মাণ হয়েছে। প্রকল্পসূত্রে জানা যায়, অপেক্ষাকৃত দীর্ঘস্থায়ী, টেকসই হওয়ার কারণে আপাতত প্রকল্পভুক্ত মহাসড়কের বাজার এলাকাগুলোর ৮ কিলোমিটার অংশে কংক্রিটের সড়ক তৈরি করা হচ্ছে। কারণ, বাজার এলাকাগুলোর রাস্তা দ্রুত নষ্ট হয়। এসব এলাকার রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক বেশি। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের কুমিল্লা সড়ক বিভাগ এ নির্মাণকাজের তদারকি করছে। জানা গেছে, কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়ক চার লেন প্রকল্পের ৫৯ কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন বাজার এলাকায় ৮ কিলোমিটার কংক্রিটে নির্মাণ করা হচ্ছে। রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থেই এটা করা হচ্ছে বলে জানান সড়ক ও জনপথ অধিদফতর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘কংক্রিটের সড়ক দীর্ঘস্থায়ী, টেকসই তবে খরচ অনেক বেশি। তবু আমরা এটা করছি স্থায়িত্বের জন্য। মূলত বাজার এলাকাগুলোয় সড়কে পানি জমে, রক্ষণাবেক্ষণ করা কঠিন। এজন্য বাজার ও জনবহুল এলাকাগুলোয় আমরা কংক্রিটের সড়ক নির্মাণ করছি।’ উল্লেখ্য, শুধু নির্মাণাধীন কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কেই নয়, কুমিল্লা-চাঁদপুরসহ কয়েকটি আঞ্চলিক সড়কে এমনকি রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কেও কংক্রিট ব্যবহার হচ্ছে। রামপুরা বনশ্রী সংলগ্ন মেরাদিয়া হাটের সামনের রাস্তাটিও কংক্রিটে নির্মাণ করা হচ্ছে।  সড়ক প্রকৌশলীরা জানান, নির্মাণকাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কংক্রিট। পাকা বাড়ি, দালানকোঠা, পুল-কালভার্ট, এমনকি সড়ক নির্মাণে এখন কংক্রিট অপরিহার্য। গত কয়েক বছর ধরে দেশের সড়ক-মহাসড়কে নতুন করে কংক্রিটের ব্যবহার শুরু হয়েছে। এসফল্টের রাস্তার চেয়ে কংক্রিটের রাস্তার এককালীন নির্মাণ ব্যয় বেশি হলেও সাধারণত এটি তুলনামূলক বেশি টেকসই হওয়ায় গড়পড়তা খরচ কম। তা ছাড়া উচ্চগতির রাস্তা তৈরির জন্য কংক্রিট ব্যবহার করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) কংক্রিটের সড়ক নির্মাণে মনোযোগী হয়েছে। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT