এবার ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য নিয়ে মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং বন্দর থেকে জাহাজ এসেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। ‘ওইএল সাস্তা’ জাহাজে ৪৫ একক কনটেইনারভর্তি পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে নেমেছে; আরেক জাহাজে ‘এশিয়াটিক মুন’ করে ওই পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আগামী ৩১ জুলাই যাবে ভারতের কলকাতা বন্দরে। এত দিন ভারত থেকে পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে নেমে; আবার সড়কপথে ভারতে গিয়েছিল। এবার ভারতের পণ্য তৃতীয় কোনো দেশের বন্দর থেকে জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে আবার জাহাজে ভারতে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা (ট্রান্সশিপমেন্ট) ঘটছে। এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ট্রানজিট এবং ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হিসেবে সক্ষম হয়ে উঠছে।
পণ্যের শিপিং এজেন্ট ট্রাইডেন্ট শিপিংয়ের ব্যবস্থাপক (অপারেশনস) কাজী শহীদ মাহমুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ওইএল সাস্তা জাহাজে ৪৫ কনটেইনার পণ্য পোর্ট কেলাং বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে গত ২৫ জুলাই। পণ্যগুলো বন্দরের রপ্তানি পণ্য রাখার ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে; আমাদের আরেকটি জাহাজ এশিয়াটিক মুন-এ সেগুলো ৩০-৩১ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে কলকাতা বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবে।’
তিনি বলেন, আগে থেকেই আমরা এশিয়াটিক মুন জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দর-কলকাতা রুটে নিয়মিত পণ্য পরিবহন করছি। কিন্তু ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য পরিবহন চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য প্রথম। এই চালানটি কলকাতা পৌঁছার পর অন্য ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরগুলোর সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের মাসুল যাচাই করে দেখব। এরপর নির্ভর করবে রুটটি জনপ্রিয় হবে কি না।
জানা গেছে, মূলত কলকাতার আমদানিকারকরা নিজেদের পণ্য কম সময় ও সাশ্রয়ে পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরকে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়। এ জন্য মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাং বন্দর থেকে ৪৫টি কনটেইনার পণ্য নিয়ে রওনা দেয় জাহাজটি। চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে সেটি কলকাতা বন্দরে যাবে।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে নেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের কারণ কী জানতে চাইলে ম্যাঙ্গো শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াকুব সুজন ভূইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, কলকাতা বন্দর জেটিতে সর্বোচ্চ ৭.২ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারে কিন্তু পোর্ট কেলাংয়ে জাহাজ ভিড়ে সাড়ে ৯ মিটারের বড় কনটেইনার জাহাজ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য আগে থেকেই পরিবহন হয়েছে কিন্তু খুব কম পরিসরে। এই চালানটি সবচেয়ে বড় একসঙ্গে ৪৫ একক কনটেইনার।
চট্টগ্রাম বন্দর সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, এতে শুধু চট্টগ্রাম বন্দরের কানেকটিভিটিই বাড়বে না চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে এই রুটে চলাচলকারী শিপিং লাইনসগুলোর জন্য এটি বড় সুযোগ। এতে চট্টগ্রাম বন্দর ট্রানজিট এবং ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে সক্ষমতা তৈরি হলো। সূত্র : কালের কণ্ঠ।