নীলফামারীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ছয় জন নিহত হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এবিএম আতিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঈদের দিন হতে পরবর্তী চার দিনে চারটি সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিন জনসহ ছয় জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ঈদের দিন শনিবার (১ আগস্ট) বিকালে আত্মীয়ের বাড়িতে মোটরসাইকেল চালিয়ে কোরবানির গোশত দিতে যাওয়ার সময় সৈয়দপুরের বানিয়াপাড়া আজিজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী কাম দফতরি মিজানুর রহমান (৩২) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার তার মৃত্যু হয়।
ঈদের পরদিন রবিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় দাওয়াত খেতে যাওয়ার পথে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সামনে কাচারীপাড়া নামক স্থানে কুমিল্লাগামী একটি নৈশ কোচের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী একই পরিবারের তিন জন নিহত হয়। দুর্ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় চালক লিটন মিয়া (৩০)। নিহতরা হলো লিটন মিয়ার স্ত্রী রুমা (২৪) তাদের ৮ মাসের শিশু সন্তান রাহিম ও লিটনের শ্যালিকা আদুরী (১৭)। পুলিশ যাত্রীবাহী কোচ উল্লাস পরিবহনকে (চট্রগ্রাম ক-১১-০২৬১) আটক করলেও চালক ও তার সহকারী পালিয়ে যায়।
অপরদিকে, সোমবার (৩ আগস্ট) বিকালে জেলা সদরের লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের দুর্বাছরি সরকার পাড়া নামক স্থানে ভটভটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক জাহাঙ্গীর আলম (৬০) নিহত হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের আকাশকুড়ি গ্রামের মৃত হাছিম উদ্দীনের ছেলে। এ ঘটনায় আহত ভটভটির যাত্রী শমসের আলীকে (৫৫) আশংকাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত শমসের জলঢাকার বেরুবন্দ গ্রামের মৃত জামুল্লাহ ছেলে। এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ ভটভটি চালক ওসমান গনিকে (৩৮) আটক করে। সে জলঢাকা উপজেলা শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের রাজবাড়ি গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।
অপরদিকে, আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার সময় মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় রাস্তা পার হতে গিয়ে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নিহত হন আকতারা বেগম (৩০) নামের এক নারী। জলঢাকা-ডালিয়া সড়কের ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের কাকড়া বটেরতল নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটে। নিহত আকতারা বেগম জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা গ্রামের আজিজুল ইসলামের মেয়ে।
Leave a Reply