চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে আমদানি পণ্য পরিবহনে লাইটার জাহাজ পরিচালনায় শৃঙ্খলা ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাল্কহেড এবং সিরিয়াল-বহির্ভূত লাইটার জাহাজে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস বন্ধে ৮ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান একেএম শামসুজ্জামান রাসেল।
কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, পণ্যের এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের (ডব্লিউটিসি) কো-কনভেনার বেলায়েত হোসেন, ইনল্যান্ড ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব চিটাগাং (আইভোয়াক) সভাপতি হাজি শফিক আহম্মদ, পণ্যের এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শেখ জাহাঙ্গীর, পণ্যের এজেন্ট ও ডব্লিউটিসির ইসি সদস্য আজিজুর রহমান, প্রদীপ চক্রবর্ত্তী, কোয়াবের পরিচালক ও ডব্লিউটিসির ইসি সদস্য জাহাঙ্গীর দোভাষ এবং ডব্লিউটিসির উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার। সম্প্রতি ডব্লিউটিসির গেজেট নীতিমালা বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত এক সভায় ‘সমন্বয়’ কমিটি গঠন করা হয়।
জানা গেছে, বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস হয় প্রধানত লাইটার জাহাজের মাধ্যমে। ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল চাহিদা অনুসারে আমদানি পণ্য খালাস ও পরিবহনের সিরিয়াল দিয়ে থাকে। কিন্তু কিছু আমদানিকারকের পণ্যের এজেন্ট অধিক মুনাফার লোভে সিরিয়াল-বহির্ভূত লাইটার এবং ঝুঁকিপূর্ণ বাল্কহেড দিয়ে বহির্নোঙর থেকে মাদার ভেসেলের পণ্য পরিবহন করছেন। এতে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ জাহাজ অলস বসে থাকে। ফলে এ খাতে বিনিয়োগ করে আর্থিক সংকটে পড়েছেন ডব্লিউটিসি অধীনে পরিচালিত লাইটার জাহাজ মালিকরা। এ নিয়ে বিরোধ তৈরি হয় জাহাজ মালিক ও পণ্য পরিবহনের সাথে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে।
একেএম সামসুজ্জামান রাসেল বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ডব্লিউটিসির সিরিয়ালে থাকা লাইটার জাহাজ পণ্য খালাস ও পরিবহনের কথা। কিন্তু একশ্রেণির অসাধু সিন্ডিকেট তা না মেনে এবং কম দামে লাইটার ভাড়া করে পণ্য পরিবহন করছে। ফলে অভ্যন্তরীণ নদীপথে পণ্য পরিবহনে সংকট দেখা দেয়। সেই সংকট নিরসন করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করব।
Leave a Reply