1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
র‌য়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির নতুন ৪ বাইকের যত ফিচার ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা

সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত হচ্ছে কক্সবাজারের পর্যটন

আবদুল আজিজ, কক্সবাজার
  • আপডেট : শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০২০

পর্যটকদের জন্য সীমিত পরিসরে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে কক্সবাজার। আগামী এক সপ্তাহ পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে সব পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল-মোটেল, মার্কেট ও বিপণি বিতানসহ পুরো পর্যটন এলাকা উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। ফলে ভ্রমণপ্রেমীদের সমাগমে আবারও মুখর হয়ে উঠবে বিশ্বের দীর্ঘতম এই সৈকত।
ঈদুল আজহার পর পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম শর্তসাপেক্ষে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটি। এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি করা হয়েছে। এতে আশার আলো দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ পর কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্য সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হবে। এজন্য একটি কমিটি গঠন করেছি আমরা। এর সদস্যরা সংশ্লিষ্টদের কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কক্সবাজার পুনরায় চালু হবে। এজন্য পর্যটন কেন্দ্র ছাড়াও হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ, পর্যটক ও পরিবহনসহ সবাইকে বিভিন্ন বিধিনিষেধ মেনে চলার শর্ত আরোপ করা হচ্ছে।’
করোনাভাইরাস মহামারি পর্যটন শিল্পের ওপর মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলেছে। দেশের সবচেয়ে বৃহৎ পর্যটন এলাকা কক্সবাজার চার মাস ধরে বন্ধ। এখানকার চার শতাধিক হোটেল-মোটেল, প্রায় ৬০০ রেস্তোরাঁ, বার্মিজ মার্কেটসহ পর্যটন নির্ভর পাঁচ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থবির হয়ে পড়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন আবাসিক হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁর প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। কক্সবাজারে পর্যটন খাতে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। সব মিলিয়ে জেলার এই শিল্পে ধস নেমেছে।

গত রোজার ঈদের মতো এবারের ঈদুল আজহায় চারপাশ পর্যটকশূন্য। এভাবে দুটি ঈদ কেটে যাচ্ছে তা আগে কখনও দেখেননি কক্সবাজার আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার। তার দাবি, পর্যটন থমকে থাকায় জেলার ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। প্রশাসনের আশ্বাস অনুযায়ী ঈদের পর হোটেল-মোটেল চালু করার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল অফিসার্স অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ মনে করেন, ‘আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান যেমন খুলে দিয়েছে, পর্যটন শিল্পকে সেভাবেই উন্মুক্ত করে দিতে পারে।’
পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের খবরে ব্যবসায়ীরা পুনরায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে সৈকতের আশেপাশে কিছু ঝিনুকের দোকান খুলতে শুরু করেছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের বাধার মুখে মাঝে মধ্যে ছুটে চলছে সৈকতের ঘোড়াগুলো। সৈকতে পেশাদার আলোকচিত্রীরা চাতক পাখির মতো পর্যটকদের অপেক্ষায় চেয়ে থাকেন। জেলায় আবারও প্রাণচাঞ্চল্য দেখতে সবাই উন্মুখ হয়ে আছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. শাকের বলেন, ‘ঈদের পর পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হলে পর্যটকদের সৈকতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। এ নিয়ে প্রস্তুতি আছে আমাদের।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT