পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় করবে কোরিয়ান কোম্পানি। বুধবার ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ভার্চুয়াল বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে জানানো হয়, এ কাজের জন্য নির্ধারিত মূল্যসীমার ঊর্ধ্বে হলেও রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কোম্পানিটিকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে ব্রিজ, রাস্তাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সরকারকে টোল দিতে হয়, যাতে করে এগুলো মেনটেইন করা যায়। আমাদের দেশের এ ব্যবস্থাটি এখনো চালু করতে পারিনি। সেগুলো এখনো আমরা অটোমেশন করতে পারিনি। ‘কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন’ (কেইসি) কোরিয়ার অলমোস্ট সমস্ত টোল ম্যানেজ করে। আমরা টোল ব্যবস্থাপনায় পিছিয়ে রয়েছি, যদি এদেরকে আমরা পাই তাহলে টোল ব্যবস্থাপনায় একটা মাইলফলক সৃষ্টি হবে।
জানা যায়, পদ্মা সেতু রক্ষণাবেক্ষণে কেইসি সেতুর বিভিন্ন অংশে সেন্সর ব্যবহারের মাধ্যমে স্ট্রাকচারাল হেল্থ মনিটরিং সিস্টেম চালু করবে। এ পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেতুর বর্তমান অবস্থা মূল্যায়ন করে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সেতুর আওতাধীন যে কেনো স্থানে বিদ্যমান যানবাহন সংক্রান্ত তথ্যাদি জানতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ট্রাফিক ইন্ফরমেশন অ্যাপ্লিকেশন চালু করবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেভমেন্টের ক্ষতির পরিমাণ ও অবস্থান জানার জন্য রিয়েল টাইম রোড পেভমেন্ট ড্যামেজ ডিটেকশন চালু করবে এবং স্বয়ংক্রিয় ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) ব্যবস্থা চালু করবে। এছাড়া সেতুর ইন্সপেকশনের ক্ষেত্রে অন্যন্য পদ্ধতির পাশাপাশি ড্রোন ব্যবহার করবে।
Leave a Reply