আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশে দাম কমানোর আপাতত কোনও সিদ্ধান্ত নেই। বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভা শেষে প্রেসব্রিফ্রিং-এ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয়। দাম কমানো উচিত কিনা, অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি কি মনে করেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমার কোনও মতামত নেই। বিষয়টি সম্পূর্ণ সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।
করোনাভাইরাসের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যের দাম অনেক কমে গেলেও দেশীয় বাজারে আগের মূল্য বহাল আছে। বাম রাজনৈতিক সহ বিভিন্ন সংগঠন জ্বালানি তেলের দাম কমানোর দাবি করলেও এ বিষয়ে সরকার এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নি। উল্লেখ্য, করোনাকালে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য গড়ে ৫০ শতাংশ কমে গেছে!
বাংলাদেশ সরকার সাধারণত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কুয়েত থেকে জ্বালানি পণ্য আমদানি করে থাকে। বাংলাদেশ প্রেটোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) মোট চাহিদার ৫০ শতাংশ সরকার টু সরকার এবং বাকি ৫০ শতাংশ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে উম্মুক্ত দরপদ্ধতিতে ক্রয় করে। যার প্রক্রিয়া ৬ মাস আগে থেকেই শুরু হয়। দেশের চাহিদা বিবেচনায় প্রতি মাসে গড়ে পাঁচ লাখ টন থেকে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি তেল ক্রয় করা হয়।
জানা যায়, করোনার কারণে দেশে জ্বালানি পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ মজুদ বেড়ে গেছে। ফলে জ্বালানি তেল সংরক্ষণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিপিসি। তবে এই সংকট কাটিয়ে উঠতে উদ্যোগ নিয়েছে বিপিসি। পাইপ লাইন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও পেট্রোল পাম্পের সংরক্ষণাগারে তেল রাখার পরিকল্পনা করছে সরকারি এ সংস্থাটি।
তেল আমদানির অনুমোদন: দেড় লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করবে সরকার। জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এ তেল আনা হবে। জি-টু-জি এবং ওপনে টেন্ডারে এসব তেল আমদানিতে সরকারের খরচ হবে প্রায় ৪৩৮ কোটি টাকা।
বুধবারের বৈঠকে এ সংক্রান্ত ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে অর্ধেক জি টু জি ভিত্তিতে বাকি অর্ধেক ওপনে টেন্ডারে কেনা হবে।
Leave a Reply