1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী পরিবহন তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বিশ্বখ্যাত মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রয়েল এনফিল্ড খুব শিগগিরই বাজারে আসছে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী এমটি কনসার্টো জাহাজে বাংলাদেশী নাবিকের মৃত্যুর তদন্ত দাবি লুব্রিকেন্ট আমদানিতে বাড়তি শুল্কায়নে ডলার পাচার বাড়বে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সম্পাদক ওসমান আলীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, অপসারণ দাবি

বেনাপোল বন্দরে পণ্যজট

বকুল মাহবুব, বেনাপোল
  • আপডেট : শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০
ভয়াবহ পণ্যজটে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বেনাপোল বন্দরের আমদানি বাণিজ্যে

বেনাপোল বন্দরে ভয়াবহ পণ্যজটের বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আমদানি বাণিজ্যে। বন্দরের শেডগুলোতে ফাঁকা জায়গা না থাকায় কমে গেছে পণ্য আমদানি। ফলে এবারও রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ধস নামার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও বন্দর কর্তৃপক্ষ পণ্য রাখার জায়গা দিতে না পারার কারণে যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে বন্দরে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে চারগুণ বেশি পণ্য রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। বন্দরের ভিতরে জায়গার অভাবে পণ্য খালাসে দেরি হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর হঠাৎ আমদানি বাড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঈদের আগে-পরে শুধুমাত্র ১০ দিন ভারত থেকে পণ্য এসেছে। বন্দর থেকে দেশের অভ্যন্তরে পণ্য ডেলিভারি হয়নি। সরকারি বিধিনিষেধ, বর্ষা ও ফেরিঘাটের অবস্থা খারাপ হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী বন্দর থেকে পণ্য খালাস না করায় পণ্যজট সৃষ্টি হয়েছে। যে সব পণ্য চালান মাসের পর মাস ফেলে রাখা হয়েছে, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্যজট কমাতে সেগুলো নিলামের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর অনেকে পণ্য খালাস করে নিয়ে যাচ্ছেন, আবার অনেকে সময় চেয়ে আবেদন করছেন। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ‘বেনাপোল বন্দরে জায়গা না থাকায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বন্দরে জায়গা বাড়ানোর জন্য বারবার দাবি করলেও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। বন্দরে জায়গা না থাকায় বেনাপোলের ওপারে ৩ হাজার পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকে আছে দিনের পর দিন। বেসরকারিভাবে ওয়্যারহাউস নির্মাণ ও আইসিটি গড়ে তোলাটা এখন সময়ের দাবি।’ বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, ‘ভারত থেকে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হতো বেনাপোল বন্দর দিয়ে। করোনার কারণে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৩০০-তে। করোনাকালে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের কথা থকলেও সকাল ১০টার আগে পাঠাতে পারছেন না ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। বন্দরের জায়গা সংকট ও যন্ত্রপাতি স্বল্পতার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে ৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃহৎ দুটি ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পণ্য ধারণক্ষমতা বেড়েছে। ২৫ একর জায়গা আমরা অধিগ্রহণ করেছি। আরও সাড়ে ১৬ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। শিগগির ২৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বেনাপোলে কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল স্থাপনের কাজ শুরু হবে।’ বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দরে কাজকর্ম স্বাভাবিক আছে। বন্দর থেকে দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য সব কর্মকর্তা ও স্টোক হোল্ডারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও দ্রুত করতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT