অ্যাকাউন্টে টাকা জমা না দিয়ে গ্রাহকের প্রায় ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডাক বিভাগ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের দুই কর্মকর্তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। ডাক বিভাগের আকস্মিক অডিটে এ ঘটনা ধরা পড়ার পর বুধবার রাতেই সারওয়ার আলম ও নুর মোহাম্মদ নামের ওই দুই কর্মকর্তাকে পুলিশে দেয় কর্তৃপক্ষ। সঞ্চয় শাখার সহকারী পোস্টমাস্টার-৬ নুর মোহাম্মদের বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলার খরনদীপ গ্রামে এবং সারওয়ারের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার বরহাতিয়া গ্রামে। এই শাখায় সাধারণ সঞ্চয় হিসাবের টাকা জমা ও উত্তোলন করা যায়। চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা বলেন, ‘ডাক বিভাগের অভ্যন্তরীণ অডিটে টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। এখন লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা তা দুদকে পাঠাব। কারণ মামলাটি দুদকের শিডিউলভুক্ত।’
ডাক বিভাগ সূত্র জানায়, তিন গ্রাহক মাসে মাসে এসে টাকা জমা দিতেন ডাক বিভাগের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে খোলা তাঁদের অ্যাকাউন্টে। ডাক বিভাগে দায়িত্বরত দুই কর্মকর্তার হাতে তাঁরা এই কিস্তির টাকা জমা দিতেন। জমা রসিদও নিতেন তাঁদের হাত থেকে। কিন্তু ওই টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে নয়, জমা হতো ওই দুই কর্মকর্তার পকেটে। গ্রাহককে যে রসিদ দেওয়া হতো, ওগুলো ছিল জাল।
ডাক বিভাগের পরিদর্শক রাজিব পাল বলেন, ‘আমাদের তিন গ্রাহকের ৪৫ লাখ টাকা অভিযুক্ত সারওয়ার আলম ও নুর মোহাম্মদ তাঁদের হিসাবে জমা না দিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করেছেন। আমাদের অডিটে তা ধরা পড়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে আমরা তাঁদের পুলিশে সোপর্দ করেছি। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হবে।’
নুর মোহাম্মদ প্রথমে অস্বীকার করলেও পরিদর্শনকালে তাঁর কাছ থেকে দুই দফায় ২১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকি ২৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ডাক বিভাগের পরিদর্শক রাজিব পালের চিঠিতে বলা হয়, ওই দুই কর্মী অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাঁদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply