ল্যান্স নায়েক বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৪৯তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ ৫ সেপ্টেম্বর শনিবার। ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে শাহাদাত বরণ করেন তিনি। এদিন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ এবং দলীয় সঙ্গীদের জীবন ও অস্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন নূর মোহাম্মদ। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। তার ৪৯তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ নূর মোহাম্মদ শেখ ট্রাস্ট’ নড়াইলের নূর মোহাম্মদ নগরে ও যশোরের শার্শায় উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছে।
নূর মোহাম্মদ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেছা, মতান্তরে জেন্নাতা খানম। বাল্যকালেই বাবা-মাকে হারান তিনি। সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তবে, মতান্তর রয়েছে। মহিষখোলার নাম পরিবর্তন করে ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ নূর মোহাম্মদনগর করা হয়। এরপর উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যায় নূর মোহাম্মদনগর। তার স্মৃতিরক্ষার্থে নূর মোহাম্মদনগরে নির্মাণ করা হয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’ এবং স্মৃতিস্তম্ভ। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়। নূর মোহাম্মদের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ নূর মোহাম্মদনগরে শোক র্যালি, স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণ, পুলিশ কর্তৃক সশস্ত্র সালাম, কোরানখানি, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।
Leave a Reply