অমিতাভ বচ্চন সাহেব অসুস্থ হইয়া হাসপাতালে ছিলেন মাস খানেক, তার ওপরে কোভিড চলতাছে পুরা ভারত জুইড়া, বাসায় পুরা আটকা। একদিন আর পারলেন না থাকতে, ড্রাইভাররে কইলেন গাড়ি বাইর কর ঘুইরা আসি। স্যার আপনের তো শরীর খারাপ। আরে দূর। গাড়ি থাইক্যা নামুম না, লং ড্রাইভে যামু। অনেক দিন গাড়ি চালাই না। রাস্তাঘাট খালি। যা পিছনে বস, আমি চালামু। ইয়ে মানে, স্যার। যা পিছে, ড্রাইভার পিছে গিয়া বসলো। বচ্চন সাব গাড়ি চালাইতাছে। ড্রাইভার ভয়ে, লজ্জায় পেছনের সিটে বইসা সিট থাইকা পত্রিকা পড়ার ভান করলো, যাতে বাইরের লোক দেখলে বুঝতে না পারে। বচ্চন সাহেব রাস্তার লাল বাত্তি বুত্তি কিছুই খেয়াল করলো না।
কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ মামায় ঠিকই খেয়াল করছে। এই গাড়ি লাল বাত্তি, সিগন্যাল না মেনে আসতাছে। হাত দেখাইয়া কইলো। কীরে ব্যাটা চোখ না চুলা, সিগন্যাল না মাই না আয়া পড়লি। গাড়ির জানালার সামনে আসতেই অমিতাভ বচ্চনরে দেইখা দেইলো। নামাস্তে সাব, আপ ইয়্যাহা। তারপর তাড়াতাড়ি ওসিরে ফোন করলো, স্যার জলদি আসেন। একটা ফাইন করতে হইবো কিন্তু আমি চালান কাটতে সাহস পাইতাছি না। বিশাল কোনো বড় কোনো পাওয়ারওলা সাবের গাড়ি থামাইছি। এক কাম করেন আপনে বরং কমিশনার স্যারকে নিয়াই আসেন। কস কী ব্যাটা। কার গাড়ি আটকাইছস। কমিশনাররে আনতে হইবো, চালান কাটতে। তাতো কইতে পারুম না, সে তো পিছের সিটে বসা। কিন্তু অমিতাভ বচ্চনরে সে ড্রাইভার হিসাবে রাখছে! ফেসবুক থেকে
Leave a Reply