1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
র‌য়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির নতুন ৪ বাইকের যত ফিচার ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তিন চাকার যানে দুর্ঘটনা বাড়ছে

কুমিল্লা সংবাদদাতা
  • আপডেট : রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তিন চাকার যানবাহন। ব্যস্ততম এই মহাসড়কে এমন যানবাহন চলাচলের কারণে বেড়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। মহাসড়কটির কুমিল্লা অংশের ১০৫ কিলোমিটার এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি এলাকাতেই অবাধে চলাচল করছে ইঞ্জিনচালিত থ্রি-হুইলার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশা ও ভ্যান। কোথাও প্রকাশ্যেই চলছে নছিমন, করিমন, ভটভটিও। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহাসড়কটি দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা। তবে হাইওয়ে পুলিশের দাবি- তাদের চোখ এড়িয়ে অনেকটা গোপনে চলাচল করে এসব নিষিদ্ধ যানবাহন। এর বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছেন তারা। যদিও বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, হাইওয়ে পুলিশকে ‘ম্যানেজ’ করেই চলাচল করছে অবৈধ তিন চাকার যানবাহন।
২০১৫ সাল থেকে দেশের ২২টি মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এরপর হাইকোর্ট গত বছর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ১০ জেলার মহাসড়কে তিন চাকার বাহন না চালানোর নির্দেশ দেন। এরপর গত বছরের আগস্ট থেকে মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে। এত কিছুর পরও দাবিয়ে রাখা যায়নি এসব অবৈধ যানবাহনকে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে- মহাসড়কের ওপরেই সারি সারি সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দাঁড়িয়ে আছে। চালকরা ডেকে ডেকে যাত্রী তুলছেন। এ এলাকায় মহাসড়কের ঢাকা ও চট্টগ্রামগ্রামী দুটি লেনই অবৈধ তিন চাকার যানবাহনের দখলে। যার কারণে এই অংশে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে, ঘটে দুর্ঘটনাও। এছাড়া জরুরি যান চলাচলে সৃষ্টি হয় প্রতিবন্ধকতা।
মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন মালপত্র নিয়ে নছিমন, করিমন ও ভটভটি অবাধে চলাচল করছে। মহাসড়কের ওপর সারি সারি তিন চাকার যান। সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের ওপরেই সিএনজিচালিত অটোরিকশার অঘোষিত ‘স্ট্যান্ড’। এখান থেকে যাত্রী তুলে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন গন্তব্যে।
মহাসড়কের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, কোটবাড়ি বিশ্বরোড, আলেখারচর বিশ্বরোড, সেনানিবাস এলাকায় গিয়ে একই দৃশ্য দেখা গেছে। মহাসড়কের চান্দিনা, ইলিয়টগঞ্জ, গৌরীপুরসহ দাউদকান্দির বিভিন্ন এলাকাতেও অবাধে তিন চাকার যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশার কয়েকজন চালক বলেন, মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করলে দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যায়। এছাড়া এমন কিছু জায়গা আছে যেগুলো মহাসড়ক দিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। তারা মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলের জন্য আলাদা লেনও দাবি করেন। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার অটোরিকশার কয়েকজন চালক জানান, মহাসড়ক দিয়ে অটোরিকশা চালাতে হলে অনেক সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। অনেক সময় দেখা যায়, হাইওয়ে পুলিশ গাড়ি আটক করে নিয়ে যায়। পরে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে গাড়ি ছাড়িয়ে আনতে হয়। আবার পুলিশকে মাসিক চাঁদা দিয়েও চলাচল করতে হয়।
সামছুল আলম, কবির হোসেনসহ মহাসড়কের বেশ কয়েকজন বাসচালক জানান, এসব তিন চাকার যানবাহনের অনেক চালক আছেন, তারা জানেনই না কীভাবে মহাসড়কে গাড়ি চালাতে হয়। অনেক সময় তারা হুট করে দ্রুতগতির গাড়ির সামনে চলে আসেন। যখন ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে একটি বাস চলে তখন এসব নিষিদ্ধ যান হুট করে সামনে চলে এলে আমাদের হার্ড ব্রেক কষে গাড়ি থামাতেও বেকায়দায় পড়তে হয়। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে চালকদের মাঝে।
চৌদ্দগ্রাম বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল জলিল রিপন বলেন, অবৈধ এসব তিন চাকার যানবাহনের দখলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকা। এতে করে মহাসড়কে চলাচলরত দূরপাল্লার গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসসহ জরুরি সেবার যানবাহনগুলোকে যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে। যাত্রীদেরও ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দেশের লাইফলাইনখ্যাত ও ব্যস্ততম মহাসড়কে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হলেও হাইওয়ে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকায় জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। হাইওয়ে পুলিশের অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের মাঝে।
জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশ, কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে নিষিদ্ধ তিন চাকার যানবাহনগুলো অনেক সময় গোপনে চলাচল করে থাকে। তবে এসব নিষিদ্ধ যানবাহনের বিরুদ্ধে আমাদের সারা বছরই ব্যবস্থা চলমান আছে। অনেক সময় এসব গাড়ি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT