দু’বার মেয়াদ বাড়ানো সত্ত্বেও প্রকল্পটির অগ্রগতি মাত্র ১০ শতাংশ
ভিসা সংকট কিছু ভারতীয় কর্মীর কাজে যোগদানে বাধা
২৪০ কোটি টাকার প্রকল্পে কাজ শুরু হয়েছে ২৯ জুলাই, ২০১৮
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের দৈর্ঘ্য ১০.৫ কিলোমিটার
আগরতলার নিসচিন্তপুর সীমান্ত আখাউড়া গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনকে সংযুক্ত করবে
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ সংযোগ প্রকল্পের কাজ শামুকের গতিতে চলছে এবং অনেক শ্রমিক এখনও করোনভাইরাসের ভয়ে কাজে ফিরতে বিরত রয়েছেন। ২০১৮ সালের ২৯জুলাই শুরু হওয়া এই প্রকল্পটির মেয়াদে দু’বার সময় বাড়ানো সত্ত্বেও মাত্র ১০% অগ্রগতি হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী ভারতীয় সংস্থা টেক্সমাকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ২০২০ সালের ২৯ শে জানুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তা করতে ব্যর্থ হয়। পরে, সময়টি এ বছর ১৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। তবে করোনাভাইরাসের কারণে সংস্থাটি এটি শেষ করতে পারেনি। এজন্য বাস্তবায়নকারী সংস্থার অনুরোধে রেল লিঙ্ক প্রকল্পটি আবারো ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। দুই মাসের স্থগিতাদেশের পরে, প্রকল্পটির কাজ ১ জুন আবার শুরু হয়েছিল, তবে ধীরে ধীরে চলছে। কারণ, কিছু প্রয়োজনীয় ভারতীয় কর্মী – যারা শাটডাউনের সময় দেশে ফিরে এসেছিল – এখন ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রকল্পটি নতুন সময়সীমার মধ্যেই সম্পন্ন হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। গত ৯ আগস্ট, গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় প্রকল্পের সাইটটিতে গিয়ে দেখা গেছে, শুল্ক ও অভিবাসন ভবন, ১৬টি সেতু ও কালভার্টের কয়েকটি এবং জমি উন্নয়ন কাজ চলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রকল্প প্রকৌশলী বলেন, করোনার কারণে প্রকল্পটির কাজ দুই মাস বন্ধ ছিল। বর্ষাকালেও নির্মাণকাজ ব্যাহত হয়েছিল। ফলস্বরূপ, সেতু এবং কালভার্টের নির্মাণ কাজ শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে।
টেক্সমাকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার ভাস্কর বকশি বলেছেন, ‘আমাদের কিছু কর্মী করোনার আঘাতের পরে ভারতে ফিরে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন ইতিমধ্যে ফিরে এসেছেন। পরামর্শদাতারা, ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এখনও পুনরায় যোগদান করতে পারেননি। আমরা তাদের ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের বিশেষ অনুমতি নেওয়ার চেষ্টা করছি।’ তিনি আরও বলেন, আমরা নতুন-বর্ধিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার চেষ্টা করছি।
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ (বাংলাদেশের অংশ) প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মোঃ সাবুক্তাগীন বলেন, ‘প্রকল্পের সকল কর্মী ভারত থেকে এসেছেন। নির্মাণ সামগ্রীও ভারত থেকে আসে। তবে করোনার কারণে শুল্ক-অভিবাসন প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে।’ এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে, প্রকল্পটি আগামী বছরের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সরকার ২০১৮ সালের ২১মে ভারতীয় সংস্থার সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। প্রকল্পটির আনুমানিক ব্যয় হচ্ছে ২২৪ কোটি টাকারও বেশি। ভারত সরকার এই প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে।
Leave a Reply