1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১০:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
র‌য়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির নতুন ৪ বাইকের যত ফিচার ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা

মহাসড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে সওজ’র ৬৩৩ কোটি টাকার প্রকল্প

মামুন আব্দুল্লাহ
  • আপডেট : রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একটি ভিউ

চলতি বছরের মধ্যেই সড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে চেয়েছিল সরকার। কিন্তু মহাসড়কে প্রয়োজনীয়সংখ্যক ট্রাফিক সাইন ও রোড মার্কিং স্থাপন করতে না পারায় কাঙ্খিত হারে সড়ক দুর্ঘটনা কমেনি। এ ছাড়া দেশের ১৫৪ কিলোমিটার মহাসড়কে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক দুর্ঘটনার সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়াচ্ছে। দুর্ঘটনা রোধে এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সাইন ও রোড মার্কিং বসানোর পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ করিডর (বাঁক) উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। এসব কাজে ৬৩৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠিয়েছে সওজ।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সওজের পাঠানো প্রকল্প প্রস্তাবের ওপর ইতিমধ্যে মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভাও হয়েছে। সভায় প্রকল্পে বেশ কয়েকটি কম্পোনেন্টে (অঙ্গে) ব্যয় কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় বিদেশ ভ্রমণ ও গবেষণার নামে মোটা অঙ্কের বরাদ্দের আবদার বাতিল করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন বলছে, সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পাঠালে অনুমোদনের জন্য পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
পিইসি সভার কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, ‘অ্যাকশন ফর রোড সেইফটি (২০১১-২০২০)’ অনুযায়ী বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ২০২০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সওজ বলছে, মহাসড়কে ট্রাফিক সাইন ও রোড মার্কিং স্থাপনের হার এখনো সন্তোষজনক নয়। এর আগে ‘জাতীয় মহাসড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থানে সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নিয়ে ইতিমধ্যে কিছু স্পটে সড়ক নিরাপত্তাসংক্রান্ত সাইন-সিম্বল স্থাপন করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে (৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার) এখনো সড়ক নিরাপত্তা যথাযথ মানে ও সঠিকভাবে দৃশ্যমান নেই। এ ছাড়া কিছু অনুপযুক্ত রোড সাইন ও মার্কিংয়ে বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি রয়েছে।
সওজ জানাচ্ছে, ২০১২ সালে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৩৭২ কিলোমিটার মহাসড়কের ৩০০ কিলোমিটার অংশকে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই ৩০০ কিলোমিটার সড়কের কিছু অংশ অন্য প্রকল্পের আওতায় সড়ক নিরাপত্তার উন্নয়ন করা হয়েছে। তবে এখনো প্রায় ১৫৪ কিলোমিটার মহাসড়ক মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সওজের ভাষ্য, সড়ক ব্যবহারকারীদের, বিশেষ করে চালক ও পথচারীদের যথাযথ তথ্য প্রদান করার প্রয়োজনে জাতীয়-আঞ্চলিক মহাসড়কে বিদ্যমান আইন ও মার্কিংয়ের উন্নয়ন এবং নতুন করে স্থাপন অপরিহার্য।
জানা গেছে, প্রায়ই দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় এমন এলাকার তালিকার ভিত্তিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সব স্থানে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা (কাউন্টার ম্যাজার্স) প্রণয়নের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই আলোকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে ৬৩৩ কোটি টাকা ব্যয়সংবলিত প্রকল্প প্রস্তাবনা পঠানো হয়েছে। চলতি বছর থেকে জুন ২০২২ নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। যদিও মেয়াদকাল বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। অনুমোদন পেলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সওজের এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন সড়কের মোট পরিমাণ ২১ হাজার ৩০২ কিলোমিটার। এর মধ্যে জাতীয় মহাসড়কের পরিমাণ ৩ হাজার ৮১২ কিলোমিটার এবং আঞ্চলিক মহাসড়কের পত্রিমাণ ৪ হাজার ২৪৬ কিলোমিটার। বর্তমানে সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন, নির্ভরযোগ্য, নিরাপদ ও টেকসই অবকাঠামো নির্মাণের জন্য সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ। এ নিয়ে কাজ চলছে। এই প্রকল্প তারই অংশ।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে বেশ কিছু খাতে ব্যয় কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাজস্ব খাতের আওতায় অঙ্গসমূহের ব্যয় যৌক্তিকভাবে হ্রাস করার কথা বলা হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক ব্যয়ও কমানোর কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পে কনসালট্যান্টের জন্য ৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা এবং সুপারভিশন কনসালট্যান্টের জন্য ১০ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই অঙ্গগুলোর ব্যয় যৌক্তিকভাবে হ্রাস করার কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পে স্থানীয় প্রশিক্ষণের জন্য দেড় কোটি টাকা এবং সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের জন্য ১০ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই খাত দুটির ব্যয় কমানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্পে বৈদেশিক প্রশিক্ষণের জন্য প্রায় ৮০ লাখ টাকা চাওয়া হলেও তা বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় হাইওয়ে পুলিশের চিহ্নিত ৫৮টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানের উন্নয়ন, ৫০টি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ স্থান উন্নয়ন, ১৪৯.২০ কিলোমিটার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ করিডরের উন্নয়ন, ৮৪ হাজার ৩৩৩টি ট্রাফিক সাইন, ৬ লাখ ৩১ হাজার ৮১৩ বর্গমিটার রোড মার্কিং, ৬৮ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার সার্ফেসিং, ইউটিলিটি অপসারণ, প্রকৌশল যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানাচ্ছে, ৫৮টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান উন্নয়নের জন্য ৪১ কোটি ৬ লাখ টাকা, ৫০টি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ স্থান উন্নয়নের জন্য ১৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নিরাপত্তা সাইন, সিম্বল, রোড ডিভাইভার, নিরাপত্তা বেড়া, ইন্টারসেকশন ডিজাইন ইত্যাদি ব্যয় কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রকল্পে ১৪৯ কিলোমিটার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ করিডর উন্নয়নের জন্য ১৫৬ কোটি ৪২ লাখ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT