বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরী অত্যাধুনিক পাঁচটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান সংগ্রহের ধারাবাহিকতায় গতকাল যুক্ত হলো দ্বিতীয় সি-১৩০জে বিমান। যুক্তরাজ্য হতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নিজস্ব বৈমানিকরা মঙ্গলবার বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে নিয়ে আসেন বিমানটি। অবতরণের সময় বিমানটিকে ওয়াটার স্যালুট দেওয়া হয়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন উপস্থিত ছিলেন।
যাত্রাপথে বিমানটি কায়রো (মিশর) ও মাসকাট (ওমান) এ অবতরণ করে এবং এই দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের জন্য কিছু শুভেচ্ছা বার্তা ও শুভেচ্ছা নিদর্শন সামগ্রী নিয়ে যায়। এছাড়া, করোনাভাইরাস-এর কারণে কায়রোতে আটকে পড়া কিছু বাংলাদেশী নাগরিককে ওই বিমানের মাধ্যমে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
যুক্তরাজ্যের রয়েল এয়ার ফোর্সের সাথে ক্রয় চুক্তি এবং মার্শাল এ্যারোস্পেস এন্ড ডিফেন্স গ্রুপ এর সাথে রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তির মাধ্যমে বিমান বাহিনীতে সংযোজন হলো পরিবহন বিমানটি। সি-১৩০জে পরিবহন বিমান অত্যাধুনিক এভিওনিক্স ও উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন পরিবহন বিমান যা মালামাল ও সৈন্য পরিবহনসহ দেশে এবং বিদেশে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ব্যবহৃত হবে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
নতুন কেনা অবশিষ্ট বিমানগুলো পর্যায়ক্রমে যুক্তরাজ্য হতে নিয়ে আসা হবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অত্যাধুনিক এই সি-১৩০জে বিমানের অন্তর্ভুক্তি, বিমান বাহিনীর পরিবহন ক্ষমতা, ও বিমান বাহিনীর সার্বিক সক্ষমতাকে বাড়াবে।
Leave a Reply