► ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ► বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলপথ চালুর উদ্যোগ
নীলফামারীর চিলাহাটি স্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত রেলপথটি ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি এই সাত কিলোমিটারে ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সাম্প্রতিক তিন প্রকল্পে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সীমান্ত যোগাযোগকে। পাশাপাশি দেশের তিনটি স্থলবন্দরকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসতে চলছে চারটি প্রকল্পের কাজ। এসব প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়েতে বাংলাদেশকে যুক্ত করা। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানো। পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান প্রকৌশলী আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান জানান, দেশ ভাগের পরে বন্ধ হয়ে যাওয়া রেলপথগুলো চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি স্থলবন্দরের সঙ্গে চলছে রেল যোগাযোগ স্থাপনের কাজ। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়া এসব প্রকল্পের লক্ষ্য। এ ছাড়া সবগুলো জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় নিতে পশ্চিমাঞ্চলে চলছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। তিনি জানান, সীমান্ত যোগাযোগ ছাড়াও সারা দেশকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় নিতে পশ্চিমাঞ্চলে চলমান প্রকল্পগুলো হলো চিলাহাটি থেকে চিলাহাটি সীমান্ত পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার, পার্বতীপুর থেকে কাউনিয়া পর্যন্ত ৫৭ কিলোমিটার, খুলনা থেকে দর্শনা পর্যন্ত ১২৬ কিলোমিটার, পার্বতীপুর থেকে কাউনিয়া ডুয়েলগেজ ৫৭ কিলোমিটার, ঈশ^রদী থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার, বগুড়া থেকে শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার, মাগুড়া থেকে মধুখালী পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার, খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার রেলপথের কাজ চলছে। এ ছাড়া সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সোনামসজিদ, পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা, ডোমার-জলঢাকা-ভোটমারি রেলপথ ও তিস্তায় দ্বিতীয় রেলসেতুর। আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান জানান, ২০৪৫ সাল পর্যন্ত একটি মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কাজ করছে রেলওয়ে। ২০৩০ সালের দিকে দেশে রেল যোগাযোগে আমূল পরিবর্তন ঘটবে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ জানান, ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ গড়ে তোলা গেলেও মিয়ানমার এখনো প্রস্তুত নয়। ফলে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়া আপাতত হচ্ছে না। তবে আন্তর্জাতিক রেল যোগাযোগের পুরো সুবিধা যাতে সবাই পায়, সেই লক্ষ্যে সব জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
Leave a Reply