স্বয়ংক্রিয় গাড়ি
স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা হলেও এতদিন তা ছিল কল্পনা। তবে এটাকে এখন বাস্তবতায় নিয়ে আসছে গুগল এবং টেলসা। অবশ্য স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নিয়ে এখনো মানুষের মধ্যে বেশ ভয় বিরাজমান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি প্রদেশে এই গাড়ির প্রতি আগ্রহ বাড়লেও এখনো তা জনপ্রিয় হতে পারছে না। তবে গবেষণা থেমে নেই। স্বয়ংক্রিয় গাড়িকে আরও উন্নততর হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করছে তারা। সবদিক দিয়ে যেনো এই গাড়ি আরও নিরাপদ হয় তা নিয়ে চলছে জোর গবেষণা।
হালকা বস্তু দিয়ে গাড়ি তৈরি
গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন গবেষণার কাজে হাত দিয়েছে। গাড়ির ওজন কমানোর চেষ্টা করছে তারা। গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে গাড়ির ওজন ১০ শতাংশ কমানো গেলে তেলের খরচ ৬ শতাংশ কমানো সম্ভব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যদি দেশটির ২৫ শতাংশ গাড়ি হালকা বস্তু দিয়ে তৈরী হয় তবে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন গ্যালন গ্যাস কম খরচ হবে প্রতি বছর। বর্তমানে আয়রণ এবং স্টিল দিয়ে তৈরী হয় গাড়ি। গবেষণা চলছে, এই দুটি ধাতুর পরিবর্তে ম্যাগনেশিয়া-অ্যালুমিনিয়াম এবং কার্বন ফাইবার কিভাবে ব্যবহার করা যায়। তবে এটা এখনো প্রাথমিক চিন্তা। কারণ, এই দুটি ধাতু অ্যাকসিডেন্টের ধকল কতোটা সহ্য করতে পারবে তাও দেখতে হবে।
রাইড সার্ভিস
উবার এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী বেশ জনপ্রিয় রাইড সার্ভিস হয়ে উঠেছে। তাদের দেখাদেখি বিভিন্ন দেশে এমন সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে যেমন পাঠাও বেশ জনপ্রিয় এখন। লিফট নামের প্রতিষ্ঠানটিও এখন অনেক জনপ্রিয়। অ্যাপ ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানগুলো রেন্ট-এ কার কোম্পানির ব্যবসার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। যাত্রীদেরকে সরাসরি ড্রাইভারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছে। স্বল্পমূল্যে যাত্রীরা ভালো মানের সেবা পাচ্ছেন।
হাইপার লুপ
প্রযুক্তির এক বড় অবদান হতে যাচ্ছে হাইপার লুপ। পুরো পরিবহন জগতকেই এলোমেলো করে দিয়েছে এই আবিষ্কার। এটাকে অনেকে টিউব রেল হিসেবেও জানেন। মূলত, টিউবকে বাতাসের চাপমুক্ত করে তার মধ্য দিয়ে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করাকেই হাইপার লুপ বলা হচ্ছে। এতে বাতাসের বাধা প্রায় শূন্যের কোটায় থাকার কারণে ট্রেনের গতি হচ্ছে বিমানের চেয়েও বেশি। ধারণা করা হচ্ছে ঘন্টায় প্রায় ১২শত কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারবে এই হাইপার লুপ। ২০১২ সালে এই মডেল উপস্থাপন করেন এলন মুস্ক। অদূর ভবিষ্যতে এই হাইপার লুপ বিশে^র সবচেয়ে জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র: ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে অনুদিত।
Leave a Reply