রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে আইসিডি (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো) স্থানান্তর অর্থায়ন জটিলতার কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। প্রকল্পটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ব্যবস্থার পরিবর্তে ফিনান্সারের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। শুরুতে এভাবেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
পিপিপি কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে (বিআর) ২০১৩ সাল থেকে গাজীপুরের ধীরশ্রমে ২৩ দশমিক ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে আইসিডি স্থানান্তর প্রকল্পের কাজ করছে। ক্রমবর্ধমান কন্টেইনার ট্র্যাফিক বিবেচনায় কমলাপুরের আইসিডি স্থানান্তরিত করার চেষ্টা চলছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জাপান থেকে জি টু জি (সরকার থেকে সরকার) ব্যবস্থার অধীনে তহবিল খুঁজতে অনেক সময় ব্যয় করেছে। তবে এই প্রকল্পের জন্য ২০১৯ সালের গোড়ার দিকে একটি জাপানি সংস্থা রেলওয়ের কাছে একটি প্রস্তাব দিয়েছিল, যা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল না। এরপর থেকে জি-টু-জি পিপিপি ব্যবস্থার অধীনে তহবিলের কোনও অগ্রগতি হয়নি।
জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (এমএলআইটি) অন্য বিনিয়োগকারীকে উত্সাহিত করার চেষ্টা করলেও কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনও সাড়া পায়নি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন যে, কমলাপুর স্টেশনে জাপানের আরেক সংস্থা জি-টু-জি পিপিপি প্রকল্প মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্টেশন হাব স্থাপনে ভাল অগ্রগতি করেছে। তবে সেই প্রকল্পের সাফল্য নির্ভর করছে কমলাপুরে রেলওয়ের জমি থেকে আইসিডি দ্রুত স্থানান্তরিত করার উপর। কারণ, কমলাপুরে মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্টেশন হাব স্থাপনে পুরো ২৫০ একর জায়গায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক কেন্দ্রের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের পরিবহণ ব্যবস্থার সমন্বয় করা হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের মতে, অর্থায়নে বিলম্বের কারণে, একটি উন্নয়ন অংশীদারের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, একটি চীনা সংস্থাও চীন সরকারের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আগ্রহ দেখিয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের নথি অনুসারে, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) একটি সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে গাজীপুরের ধীরশ্রমে আইসিডি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পক্ষে মত দেয়। অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট ধীরাশ্রমে আইসিডি স্থানান্তর প্রকল্পকে অনুমোদন দিয়েছে। পিপিপি কর্তৃপক্ষ ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারী এ প্রকল্পের জন্য ভারতের প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপার্সকে লেনদেনের পরামর্শদাতা (টিএ) নিয়োগ করেছে। টিএ ইতিমধ্যে সম্ভাব্যতা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এবং এখন চুক্তি এবং দরপত্রের নথি প্রস্তুতের কাজ করছে।
Leave a Reply