চট্টগ্রাম থেকে মুন্সিগঞ্জ যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরে তলা ফুটা হয়ে ক্লিংকারবোঝাই এমভি টিটু নামের একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে ভাসানচরের অদূরে সাগরে জাহাজটি ডুবে যায়। এ সময় আরেকটি জাহাজের সহায়তায় ডুবে যাওয়া জাহাজটির ১৩ নাবিককে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়। অতিরিক্ত পণ্য বোঝাইয়ের কারণে জাহাজটি ডুবেছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মো. সেলিম জানান, চট্টগ্রাম থেকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে যাওয়ার পথে জাহাজটি তলা ফুটা হয়ে ডুবে যায়। জাহাজের ১৩ নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজটিতে আনুমানিক ১ হাজার ৩০০ টন ক্লিংকার ছিল।তিনি আরও জানান, জাহাজ ডুবে যাওয়ায় এই ক্লিংকার পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে এ পথে অন্য জাহাজ চলাচলে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে না। ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধারে মালিকপক্ষকে নোটিশ দেওয়া হবে।
অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা জানান,বঙ্গোসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় সাগর এখন খুবই উত্তাল। তবে ওই রুট দিয়ে জাহাজ চলাচলে কোনো সমস্যা নেই। মালিকপক্ষ ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধারে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
লাইটার জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাহাজের একজন প্রাক্তন নাবিক লিখেছেন, টিটু কম্পানীর জাহাজগুলো ডুবার জন্য আমি সরাসরি ওদের ম্যনেজারকে দায়ী করবো। আমি যখন টিটু ৬ নাম্বারে ছিলাম মাল একটু কম হওয়ার কারনে ম্যনেজার আমাকে বলে, তুমি আগামীতে বেশী লোড না নিলে তোমার চাকুরী থাকবে না। এখনো উনার সেই স্বভাব রয়ে গেছে। আর বর্তমান ঐ কম্পানীর কিছু কিছু মাষ্টার লাইনে জাহাজ চালাইতে যা করে তা আর বলবো কি। ওদের সাথে সেলিং এ জাহাজ চালাইতে ভয় করে। এগুলো সম্পুর্ন অফিসের আসকরা। অবশেষে বলির পাঠা হলে আজ টিটু ১৯, আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।
Leave a Reply