ব্যাটারির দাম কমিয়ে আনতে নেভাডার গিগাফ্যাক্টরিতে ব্যাটারি সেল রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহার যোগ্য করার পরিকল্পনা করছে টেসলা। ব্যাটারি তৈরির অন্যতম দামী উপাদাম কোবাল্টের পরিমাণ একদমই কমিয়ে আনা হবে। বিশ্বজুড়ে স্বয়ংক্রিয় কারখানায় নিজস্ব ব্যাটারি সেল উৎপাদনের পরিকল্পনাও করছে প্রতিষ্ঠানটি।
টেসলার পাওয়ারট্রেইন অ্যান্ড এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্রিউ বাগলিনো জানান, স্বয়ংক্রিয় এবং কন্টিনিয়াস মোশন অ্যাসেম্বলি প্রসেসের মাধ্যমে নতুন সেল তৈরির পরিকল্পনা করছে গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানটিতে নতুন এই ব্যাটারির ঘোষণা দেয়ার সময় ইলন মাস্ক আরও জানান, এর সম্পূর্ণ নকশা ও উৎপাদন পরিকল্পনা এখনো সম্পন্ন হয়নি।
এই কাজে তিন বছর লাগবে এমন ভবিষ্যৎ বাণীর পর টেসলার শেয়ার দর কিছুটা কমে গেছে। ইতোপূর্বেও প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন সম্পন্ন হওয়ার পূর্ব ঘোষিত সময় ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ভবিষ্যতে টেসলা প্রতিবছর ২০ মিলিয়ন গাড়ি উৎপাদনের আশা করে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এবছর বিশ্বব্যাপী সকল গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো একত্রে ৮০ মিলিয়ন গাড়ি প্রস্তুত করতে পারে।
জ্বালানি ইঞ্জিন যানবাহনের মাধ্যমে লাভ করা করা প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় বিদ্যুতায়ন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টেসলার উন্নতি ও এর প্রমাণের অপেক্ষায় আছে বিনিয়োগকারীরা। ব্যাটারির পরিবর্তনের কারণে বিগত বছরগুলোতে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম কমে আসলেও, জ্বালানি ইঞ্জিনের গাড়ির তুলনায় এর দাম এখনো অনেক বেশি।
অনেক গবেষকরা মনে করেন, প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টার ব্যাটারি প্যাকস এর দাম ১০০ ডলার হলেই বৈদ্যুতিক গাড়ি ও জ্বালানি ব্যবহৃত গাড়ির মূল্যমান সমান হবে। কাইর্ন এনার্জি রিসার্চ অ্যাডভাইজর এর তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালে টেসলার এক কিলোওয়াট ঘন্টার ব্যাটারি প্যাকসের দাম ১৫৬ ডলার। এই হিসাব অনুযায়ী ৯০ কিলোওয়াট ঘন্টার ব্যাটারি প্যাকের দাম ১৪ হাজার ডলার।ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেমন্টের নতুন কারখানার পর জার্মানিতে টেসলার নতুন কারখানায় নিজস্ব ব্যাটারি সেল উৎপাদনের ব্যবস্থাও শুরু হয়েছে।
Leave a Reply