প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী অপ্রয়োজনীয় রাস্তা নির্মাণ বন্ধ এবং দেশব্যাপী পরিকল্পিতভাবে রাস্তা নির্মাণে একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এ মহাপরিকল্পনার আওতায় বর্তমানে কত রাস্তা আছে তার হিসাব এবং আগামী বছরগুলোতে কত রাস্তা নির্মাণের প্রয়োজন হবে, তা নির্ধারণ করা হবে।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী একথা বলেন।
গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী অপ্রয়োজনীয় রাস্তা নির্মাণ বা প্রশস্ত করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন লোকজন রাস্তাঘাট করে ফসলি জমি নষ্ট করে ফেলে।
এজন্য নতুন রাস্তা বানানোর চেয়ে রাস্তার মান ঠিক রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণে তিনি(প্রধানমন্ত্রী) বেশি আগ্রহী।
এজন্য রাস্তা তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষনের মাস্টারপ্লান তৈরি করতে জন্য একটি কমিটি করা হবে।
এই কমিটি সারা দেশের জন্য কত রাস্তা আছে আর কত রাস্তা করতে হবে আগামী ১০ বা ২০ বা ৫০ বছর পর তা ঠিক করবে।
বুধবারের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় চারটি প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। প্রস্তাবগুলোতে মোট অর্থের পরিমাণ ৩৩৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এরমধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় হবে ২২৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং বিশ্বব্যাংক ও দেশীয় ব্যাংক থেকে ১০৫ কোটি ১৭ লাখ ঋণ করা হবে।
এছাড়া বৈঠকে বাতিলের জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের অধীন ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএপিএফসিএল) জন্য ৩০ হাজার টন ফসফরিক এসিড আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৮৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
আরেকটি প্রস্তাবে বিসিআইসিকে কাতারের মুন্তাজাত থেকে ২৫ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ৬১ কোটি ২১ লাখ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাকশী-দাশুরিয়া জাতীয় মহাসড়কের কুষ্টিয়া শহরাংশ ৪-লেনে উন্নীতকরণসহ অবশিষ্ট অংশ উন্নীতকরণ প্রকল্পে একটি প্যাকেজের পূর্ত কাজে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান জহিরুল লিমিটেডের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে ব্যয় হবে ১৪১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বাস্তবায়নাধীন ঢাকা সিটি নেইবারহুড আপগ্রেডিং প্রকল্পের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে ব্যয় হবে ৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এছাড়া সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ‘শরীয়তপুর (মনোহর বাজার)-ইব্রাহিমপুর ফেরীঘাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের পূর্ত কাজে একটি মাত্র দরপত্র জমা পড়ে।
তাই ১০৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকার ক্রয় প্রস্তাবটি বাতিল করে নতুনভাবে ক্রয়কার্য পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়।
Leave a Reply