চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্য খালাস করার সময় অতিরিক্ত দুই ট্রাক পণ্য চুরি করে পালানোর আগেই জালিয়াতি চক্রকে গাড়িসহ আটক করেছে চট্টগ্রাম বন্দর নিরাপত্তা বিভাগ। শুক্রবার নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ডেলিভারি এলাকায় ওই জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। গাড়িসহ আটক হওয়া দুই ট্রাক ড্রাইভার ও এক সিএন্ডএফ এজেন্টের জেটি সরকারকে বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, খান এন্টারপ্রাইজ নামের সিএন্ডএফ এজেন্ট তিন কনটেইনার আমদানিকৃত বেবি ডায়াপার খালাসের জন্য ৯টি খালি কাভার্ডভ্যান বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে প্রবেশ করায়। অথচ ওই তিন কন্টেইনার পণ্য ৭টি গাড়িতেই খালাস করা সম্ভব ছিল। বাকি দুটি গাড়িতে তারা অন্য আমদানিকারকের ফেব্রিক্স পণ্য ভর্তি করার কাজ করেছিল।
ওই সময় এনসিটির ডেলিভারি ইয়ার্ডে সন্দেহ হলে গাড়ি দুটি তল্লাশি করে বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা। তাদের গেইটপাস চেক করে দেখা যায় সিএন্ডএফ এজেন্ট খান এন্টারপ্রাইজের অনুকূলে গেইট পাস ইস্যু করা গাড়িগুলো অন্য আমদানিকারকের পণ্য খালাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অথচ ওই ফেব্রিক্স ভর্তি কনটেইনারের পণ্য ডেলিভারির কাজে নিয়োজিত ছিল সিএন্ডএফ এজেন্ট দুরন্ত ইন্টারন্যাশনাল। জালিয়াতি ধরা পড়লে কাভার্ডভ্যান দুইটিসহ দুই ড্রাইভারকে আটক করা হয়। এছাড়া খান এন্টারপ্রাইজের জেটি সরকার মো. গোলাম ফারুক খানকেও আটক করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, এক আমদানিকারকের পণ্য অন্যজন ডেলিভারি নেওয়ার প্রস্তুতিকালে ট্রাকসহ দুইজন ড্রাইভার ও এক জেটি সরকারকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
Leave a Reply