রুস্তম আলী খান পরিবহন জগতকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা আশা করছি, ১২ অক্টোবরের আগেই সরকার আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বিবেচনা করবে। ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ ৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, গত ২৬ আগস্ট বিআইডব্লিউটিএ গাবতলী এলাকায় বিনা নোটিশে অভিযান চালিয়ে ৭টি ট্রাক ও ড্রাম-ট্রাক ভাঙচুর, চারটি মালামালসহ ট্রাক নিলামে তোলায় ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, ওই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের মহাসড়কের পাশে এবং জেলায় জেলায় আধুনিক ট্রাক টার্মিনাল ও বিশ্রামাগার নির্মাণ করতে হবে, টঙ্গি ট্রাক-কাভার্ডভ্যান টার্মিনাল স্থায়ী করতে হবে, যাত্রাবাড়ী ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ সারাদেশে স্থায়ী টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে, দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত কারণে তদন্ত ছাড়া ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের বন্ধ করতে হবে, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সম্পর্কে যে সব সংশোধনী বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে দেওয়া হয়েছে তা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে, বিআরটিএ-এর কাছে জমাকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স অবিলম্বে সরবরাহ করতে হবে এবং না দেওয়া পর্যন্ত ড্রাইভারদের চলমান লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালনার সুযোগ দিতে হবে, যানবাহন বর্ধিত আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে, সড়ক ও মহাসড়কে পুলিশি হয়রানি-মাস্তানি-সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, বিআইডব্লিটিএ বিভিন্ন ফেরিঘাটে ও টার্মিনালে ঘাট ইজারা দেওয়া বন্ধ করে আগের মতো বিআইডব্লিউটিএ-এর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করতে হবে এবং চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
Leave a Reply