1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
র‌য়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির নতুন ৪ বাইকের যত ফিচার ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা

‘মেরুপ্রভার’ কারণেই ডুবে যায় টাইটানিক : বৈজ্ঞানিক গবেষণায় নতুন দাবি

পোর্ট এন্ড শিপিং রাইটার, ঢাকা
  • আপডেট : রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

টাইটানিক ডুবে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে এখনো কৌতূহল বিশ্ববাসী। এ নিয়ে যুগে যুগে না রহস্য উদ্ঘাটনও হয়েছে। এবার নতুন এক বিষয় জানা গিয়েছে যে, আকাশে আলোর খেলারে কারণেই ডুবে যায় টাইটানিক। ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল দিবাগত রাতে ডুবে যায় বিশ্বখ্যাত জাহাজ আরএমএস টাইটানিক। সেদিন আকাশে চাঁদ না উঠলেও, একেবারের নিকষ অন্ধকারও ছিল না। বরং আকাশে ছিল নর্দার্ন লাইটস বা মেরুপ্রভা।
পৃথিবীর চুম্বক ক্ষেত্রে প্রবল সৌর ঝড় যখন আঘাত হানে, আকাশে টেনে নেয়া অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনের কারণে সৃষ্টি হয় মেরুপ্রভা। আর মনোমুগ্ধকর আলোর ঘূর্ণি করে খেলা তখন।
বিজ্ঞানভিত্তিক ওয়েবসাইট লাইভ সায়েন্সের প্রতিবেদক মিন্ডি ওইবার্জারের মতে, সৌর ঝড়ে সৃষ্ট ওই আলোর কারণে ম্যাগনেটিক সিগন্যাল ও রেডিও ওয়েভ হতে পারে বাধাগ্রস্ত। এই রকম বিঘ্নের ওপর ভর দিয়েই, টাইটানিক নিয়ে গবেষণারত স্বাধীন গবেষক মিলা জিনকোভা সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করছেন।
ওয়েদার জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্র অনুযায়ী, অপার্থিব ওই আলোর কারণেই ডুবে গেছে টাইটানিক। পাশাপাশি আরো অনেক কারণও রয়েছে। গবেষণার তথ্য মতে, এ কারণেই জাহাজটির কম্পাস ঠিকমতো কাজ করছিল না। তাই টাইটানিক ডোবার জন্য দায়ী করা হয় হিমবাহ বা আইসবার্গকে, সেটির সঙ্গে জাহাজটির সংঘাত এড়াতে পারেননি এর নাবিক। কম্পাসটিকে যদি মাত্র এক ডিগ্রিও সরানো যেত, তাহলে ইতিহাস হতো অন্য রকম।
এদিকে ডুবন্ত টাইটানিক থেকে ৭০৫ জনকে উদ্ধার করতে পাঠানো আরএমএস কারপাথিয়া জাহাজের কর্মকর্তা জেমস বিসেটও তার লগবুকে ১৪ এপ্রিল আকাশে আলোর খেলা চলার কথা উলল্লখ করেছেন।
আকাশে চাঁদ ছিল না, তবে এত আলোকিত মেরুপ্রভা ছিল, যেন উত্তর দিগন্ত থেকে চাঁদের আলো ঠিকড়ে পড়ছে। এমনই উদ্ধৃতি প্রকাশ পেয়েছে লাইভ সায়েন্সে। সে রাতের এক প্রত্যক্ষদর্শী, টাইটানিকের বেঁচে যাওয়া যাত্রী লরেন্স বিসলি পরবর্তীকালে জানিয়েছিলেন, মেরুপ্রভা যেন উত্তর আকাশ দখলে নিয়েছিল, আর চোখ ধাঁধানো আলোকরশ্মি ছাড়িয়ে গিয়েছিল মেরু।
নাসার তথ্যমতে, মহাশূন্যে প্রবল বৈদ্যুতিক কতার তরঙ্গ নিক্ষেপের জন্য খ্যাতি রয়েছে সৌর ঝড়ের। পৃথিবী যখন সেই তরঙ্গের কবলে পড়ে, এই গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্র থেকে শক্তি যোগায় সেই কতাগুলো, আর অক্সিজেনের সঙ্গে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করে লাল ও সবুজ আলো এবং নাইট্রোজেনের সঙ্গে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে নীল ও বেগুনি আলোর জন্ম দেয়।
বেশিরভাগ সৌর ঝড়ের প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে এর চৌম্বক ক্ষেত্র। তারপরও মহাশূন্যের প্রতিকূল আবহাওয়া কম্পাস, ইলেকট্রিক্যাল গ্রিড ও স্পেস ট্রাফিকের মতো ম্যাগনেটিক যন্ত্রপাতির কাজ বাধাগ্রস্ত করতে সক্ষম। সৌর ঝড়ের কারণেই সম্ভবত টাইটানিকের কম্পাস ভুল দিকে ঘুরে গিয়ে, জাহাজটিকে বিপদের কাছে টেনে নিয়েছিল।
ওই সৌর ঝড় টাইটানিকের রেডিও ট্রান্সমিশনেও বিঘ্ন ঘটিয়েছে বলে গবেষণাপত্রে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ কারণেই নিকটবর্তী লা প্রোভেন্স জাহাজটি টাইটানিকের সিগন্যাল পায়নি।
এদিকে হিমবাহের সঙ্গে টাইটানিকের সংঘর্ষ নিয়ে এর আগে গবেষণা করা ইতিহাসবিদ টিম ম্যালটিনও একমত পোষণ করে বলেছেন, ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল সম্ভবত একটি সৌর ঝড় হয়েছিল।  ডেইলি বাংলাদেশ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT