সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ২০০৬ সালের সঙ্গে ২০২০ সালের চট্টগ্রাম বন্দরের অপারেশনাল কাজের তুলনা করলে একেবারে শতভাগ অগ্রগতি হয়েছে। বন্দরের সবচেয়ে বড় অর্জন এখন শ্রম অসন্তোষ নেই; কথায় কথায় বন্দর অচল করার সুযোগ নেই। এখন নির্বিঘ্নে এবং নিরবচ্ছিন্ন কাজ করে বন্দরের উত্তরোত্তর অগ্রগতি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির সঙ্গে জেটির সংখ্যা না বাড়লেও আমরা আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং দেশি-বিদেশি বন্দর পরিচালনায় অভিজ্ঞ এবং দক্ষ কর্মী দিয়ে পণ্য ওঠানামার প্রবৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ সামাল দিচ্ছি, যা বিশ্বের অন্য যেকোনো উন্নত বন্দর পরিচালনাকারীদের কাছে এখনো মিরাকল!’
চট্টগ্রাম চেম্বার সহসভাপতি তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের গড় অবস্থানকাল কমেছে, জেটিতে অবস্থান সময় কমেছে, বন্দর থেকে ডেলিভারি উন্নতি হয়েছে। আধুনিক কি গ্যান্ট্রি ক্রেন যোগ করায় পণ্য ওঠানামায় সময় লাগছে অনেক কম। আমরা সীমিত সক্ষমতা দিয়ে ব্যবহারকারীদের সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছি। এখন সব কিছুর সময় নির্ধারণের ফলে একজন বন্দর ব্যবহারকারী কত দিনে পণ্য বন্দর হয়ে কারখানায় নিতে পারবেন তার হিসাব কষতে পারছেন। আবার রপ্তানি পণ্য কত দিনে বিদেশি ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে পারবেন তারও হিসাব আগেই মেলাতে পারছেন।’
বন্দর সেবার মান বাড়িয়ে আমরা পণ্য ওঠানামার সময় আরো সাশ্রয় করতে চাই উল্লেখ করে সাইফ পাওয়ারটেকের এমডি বলেন, বন্দরে নতুন জেটি নির্মাণের সময় নির্ধারণ করে দিতে হবে; বন্দরের কনটেইনার টার্মিনাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিটিএমএস) সবচেয়ে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি সংযোজন করে নতুন সব জেটির পণ্য ওঠানামা করতে হবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর বোর্ড এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দক্ষ সব কর্মকর্তা আছেন, যাঁদের পরামর্শে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি সামাল দিতে দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পারবেন।
আমাদের কাছে দেশি-বিদেশি বন্দর পরিচালনায় অভিজ্ঞ টিম আছে; বন্দর চাইলে আমরা যেকোনো সময় সহায়তা দিতে প্রস্তুত—যোগ করেন তিনি। কালের কণ্ঠ।
Leave a Reply