মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে জসিম উদ্দিন ১০ নং সিটি বাসে (চট্টমেট্রো জ–১১–২০৩১) চড়ে আগ্রাবাদ থেকে বহদ্দারহাট যাচ্ছিলেন। এসময় ভাড়া নিয়ে বাসের হেলপার আরিফের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আরিফ জসিম উদ্দিনকে কিল–ঘুষি মারে। পরে চলন্ত বাস থেকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় সড়কে উপস্থিত সাধারণ মানুষ গাড়িটি আটক করে। নিহত জসিমের ভাতিজা আব্দুল কাদের জুয়েল আজাদীকে জানান, বাসের হেলপার আরিফ পুলিশকে জানিয়েছে, ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সে আমার চাচাকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। তবে এটি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে না। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুজ্জামান আজাদীকে বলেন, জসিম উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা গাড়ির চালক রাকিব ও হেলপার আরিফকে আটক করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জসিম উদ্দিন হেলপার আরিফকে ১২ টাকা ভাড়া দেন। তার ভাড়া ছিল ৭ টাকা। ৫ টাকা ফেরত পাওয়ার প্রত্যাশায় তিনি হেলপারকে ১২ টাকা দেন। কিন্তু হেলপার তাকে ৪ টাকা ফেরত দেয়। ১ টাকা কম হওয়ায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কিল–ঘুষির ঘটনা ঘটে। পরে হেলপার আরিফ জসিম উদ্দিনকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এসময় তিনি মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বেসরকারি একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
ওসি জানান, এই ঘটনায় চালক রাকিব ও হেলপার আরিফকে আটক করা হয়েছে। জসিম আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালে তাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়। এখন যেহেতু জসিম উদ্দিন মারা গেছেন, সেহেতু এটিকে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করার আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছি আমরা।
Leave a Reply