রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক শাখার তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরে আয়ের টার্গেট দেয়া হয় ১ হাজার ৪১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। যেখানে আয় হয়েছে কেবল ৬৮৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। যা টার্গেটের ৬৬ শতাংশ। শুধু তাই নয়, গত অর্থবছরের তুলনায় এ বছর আয় কমেছে ২৩ শতংশ। গত অর্থবছরে আয় ছিল ৮৯০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় এবছর আয় কমেছে ২০৬ কোটি টাকা। যার প্রধান কারণ যাত্রী পরিবহন খাত। কারণ, এ খাতেই আয় কমেছে ১৮০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। গত অর্থবছরে যাত্রী পরিবহন খাতে আয় ছিল ৬৬০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। চলতি বছর যেখানে আয় হয়েছে কেবল ৪৮০ কোটি টাকা। গত ২৬ মার্চ থেকে রেল যোগাযোগ বন্ধের সিদ্ধান্তে এ ক্ষতির সম্মুখীন হয় রেল। তবে দুই মাস পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হওয়ায় কিছুটা পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে রেলের আয়ে। করোনার ধকল সামলে শুরু হয়েছে আয়। ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসায় যাত্রী খাতে আয় বাড়তে শুরু করেছে। এরইমধ্যে যাত্রী পরিবহনে আয় হয়েছে আনুমানিক প্রায় ৩০ কোটি টাকা। পাশাপাশি পরিবহন ও পার্সেল খাতেও আয় বাড়বে বলে মন্তব্য করেন কর্মকর্তারা।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিসিএম) মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার কারণেই মূলত এ ক্ষতি। তবে ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। এখন ৫০ শতাংশের পরিবর্তে ট্রেনের পূর্ণ টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এরইমধ্যে করোনার ধকল সামলে বেড়েছে রেলের আয়। তবে যে লোকসান হয়েছে এতে করে আয়ে সামঞ্জস্যতা আনতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে আয় বাড়াতে আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
Leave a Reply