যথাযথভাবে সরকারি নিয়ম মেনেই সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সব প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেন। বুধবার কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন,‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সব উন্নয়নমূলক কাজ স্বচ্ছভাবে করতে আমরা বদ্ধপরিকর। ক্লোজ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান।’
কাজী শাহরিয়ার হোসেন চলতি বছরের ১২ এপ্রিল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ১৯৮৬ সালের ৩ জুলাই সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন। পরে বিভিন্ন কর্মস্থলে নিষ্ঠা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। সড়ক বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে। কারো বিরুদ্ধে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।’
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে এই অধিদপ্তরের মাধ্যমে জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ ও কালভার্ট উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলছে। এই অধিদপ্তরের আওতায় প্রায় ২২ হাজার ৩৬২ দশমিক ৮২১ কিলোমিটার সড়ক, তিন হাজার ৫৪৮টি ব্রিজ, ৮৫৬টি বেইলি ব্রিজ, ১৪ হাজার ৮১৪টি কালভার্ট রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে নতুন নতুন পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণ করছে। সরকারের এসব উন্নয়ন কার্যক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে সড়ক ও জনপথ বদ্ধপরিকর।’
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সব জেলা, উপজেলা প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,‘সরকারের প্রতিটি পয়সার পেছনে দেশের জনগণের পরিশ্রমের ঘাম জড়িত। অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কেউ যাতে এই সম্পদের অপব্যবহার করতে না পারে সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’ বর্তমান করোনাকালে এই অধিদপ্তরের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সরাসরি মিটিং, নির্দেশনা ছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে ভার্চুয়ালি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ অধিদপ্তরের নেটওয়ার্কের অবস্থা বর্তমানে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় উন্নত। এখন মহাসড়ক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে জনগণ নির্বিঘ্নে ও স্বল্প সময়ে গন্তব্যে আসা-যাওয়া করতে পারছেন, পণ্য পরিবহন করতে পারছেন।’
Leave a Reply