মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের পদ্মা রিসোর্ট এখন বিলীনপ্রায়। গত কয়েক দিন ধরেই রিসোর্ট এলাকায় পদ্মার শাখা নদীর ভাঙন দেখা দেয়। ধীরগতির ভাঙন ক্রমেই রিসোর্টের দিকে এগোচ্ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তা তীব্র আকার ধারণ করে। এতে রিসোর্টটির প্রায় দুই একর জায়গা বিলীন হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১২টি কটেজ।
লৌহজং উপজেলার পদ্মার শাখা নদীসংলগ্ন পদ্মার চরে অবস্থিত ছিল পদ্মা রিসোর্ট। প্রমত্তা পদ্মার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ আর বর্ণিল কাঠের কটেজে অবকাশ যাপনের জন্য জেলা তথা বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসত ব্যতিক্রমী এই রিসোর্টটিতে। কিন্তু পদ্মার শাখা নদীর করাল গ্রাসে আর শেষ রক্ষা হলো না এর। বেশ কিছু কটেজের অংশ নদীতে বিলীন হওয়ার পরপরই ১৬টি কটেজের মধ্যে ১২টি এরই মধ্যে ভেঙে মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাকিগুলো ভাঙার কাজও চলছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রিসোর্টের মালিক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘রিসোর্টের সামনের অংশের দুই একর পুরোটাই ভেঙে গেছে। আমাদের প্রচুর ক্ষতি হলো। বেশ কিছু স্থাপনা ভেঙে যাওয়ার পর ক্ষতি কমানোর জন্য কটেজগুলো ভেঙে মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। ১৬টির মধ্যে আর চারটি কটেজ আছে। সেগুলোও ভেঙে ফেলা হবে।’
রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের পরবর্তী পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী আরো বলেন, বহু মানুষ রিসোর্টটি চেনে। বেড়াতেও আসে। যদি ভাঙন থেমে যায় তবে আবার রিসোর্টটি চালু করার ইচ্ছা আছে। তবে পুরো জায়গা বিলীন হলে সেটি আর সম্ভব হবে না।’
এদিকে এ বছর পদ্মার ভাঙনের কবলে এরই মধ্যে লৌহজং উপজেলার আটটি গ্রাম সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বেশ কয়েক দিন ধরে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে পদ্মা রিসোর্টের উত্তর দিঘলী ও ভোজগাঁও গ্রামে। এর আগে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় কয়েক দফা ভাঙনে দুটি ঘাট বিলীন হয়ে যায়। এর মধ্যে একটিকে কোনোমতে চালু করা হলেও এখন পর্যন্ত এটি হুমকির মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া পদ্মা সেতুর কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে পদ্মার ভাঙনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
Leave a Reply