1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী পরিবহন তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বিশ্বখ্যাত মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রয়েল এনফিল্ড খুব শিগগিরই বাজারে আসছে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী এমটি কনসার্টো জাহাজে বাংলাদেশী নাবিকের মৃত্যুর তদন্ত দাবি লুব্রিকেন্ট আমদানিতে বাড়তি শুল্কায়নে ডলার পাচার বাড়বে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সম্পাদক ওসমান আলীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, অপসারণ দাবি

মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্যোগ

সড়ক পরিবহন রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২০

প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা

রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য যে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হচ্ছে, তার আওতায় ফ্লাইওভারটির সৌন্দর্যও বাড়বে। ‘মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি প্রণয়ন করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। অনুমোদন পেলে এটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। গত ৬ সেপ্টেম্বর এই প্রকল্পের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার কার্যপত্র সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় ৮০০ ইউনিট এলইডি বাতি স্থাপন, হাইড্রলিক লেডার ক্রয়, ওয়াটার স্প্রিংকলিং ভেহিকেল ও রোড সুইংপিং ভেহিকেল সংগ্রহ এবং মেরামত ও সংস্কার কাজ করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রকল্পটি চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে (এডিপি) অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে। পিইসি সভায় পর্যালোচনার পর প্রক্রিয়াকরণ শেষ হলে এটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের কাছে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে হস্তান্তরের আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ওই সভা। সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) বলেন, ফ্লাইওভারের অধিকাংশ রোড লাইট নষ্ট হয়ে আছে, যা ফ্লাইওভারের ওপরের পরিবহন ও যাত্রীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া ট্রাফিক সিগন্যাল সার্কিটও নষ্ট। বিভিন্ন জায়গায় ময়লা পানি জমে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ওই বৈঠকে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ফ্লাইওভারের নিচের অধিকাংশ জায়গা বেদখল হয়ে আছে। সেগুলো দখলমুক্ত করে যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ফ্লাইওভারের সৌন্দর্যবর্ধন, ফ্লাইওভারে প্রয়োজনীয়সংখ্যক এলইডি লাইট স্থাপন, ট্রাফিক সাইন সিগন্যাল স্থাপন ইত্যাদি অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াও পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা প্রয়োজন। পরে ডিএসসিসির আর্থিক সীমাবদ্ধতা থাকায় সরকারী অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য ডিএসসিসি অংশের ফ্লাইওভার সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে এই প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়। প্রকল্পে ডিএসসিসি’র দেয়া ২০১৮ সালের তালিকা অনুযায়ী যান-যন্ত্রপাতিগুলোর বর্তমান বাজারদর হিসাবে নিয়ে খরচ প্রাক্কলন করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৪০৪টি এলইডি বাতি স্থাপন, দুইটি হাইড্রলিক লেডার, তিনটি ওয়াটার স্প্রিংকলিং ভেহিকেল, দুইটি রোড সুইংপিং ভেহিকেল, একটি জীপ ও তিনটি মোটরসাইকেল সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া ফ্লাইওভারের ট্রাফিক সিগন্যাল, সাইন, মার্কিং সিসি ক্যামেরা ও নিচের রাস্তা, মিডিয়ান এবং ফুটপাতসহ রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শুরুতে প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় দাঁড়ায় ৪৮ কোটি ৬ লাখ টাকায়। প্রকল্পটির ওপর ২০১৯ সালের ৭ জুলাই স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রকল্প যাচাই কমিটি (আইপিইসি) সভা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা, মিডিয়ান এবং ফুটপাতসহ রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন কাজ এবং জীপ গাড়ি কেনার অংশ বাদ দিয়ে ডিপিপি পুনর্গঠন করা হয়েছে। পুনর্গঠিত ডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২ কোটি ৫৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের যুগ্ম- প্রধান রেজাউল আযম ফারুকী পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে পিইসি সভার কার্যপত্রে বলেছেন, প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারী অর্থে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কোন অবদান নেই। তাই প্রকল্প ব্যয়ের ২০ শতাংশ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশেনের নিজস্ব তহবিল থেকে বহন করা যেতে পারে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ফ্লাইওভার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা এবং নিরাপদে ট্রাফিক চলাচল নিশ্চিত করা।

কিন্তু এ প্রকল্পে তিনটি মোটরসাইকেল কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই এ অংশটি বাদ দেয়া যেতে পারে। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অনেকগুলো প্রকল্প চলমান রয়েছে। ওইসব প্রকল্পের আওতায় অনেক যানবাহন, যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় একটি হাইড্রলিক লেডার, একটি ওয়াটার সিপ্রংকলিং ভেহিকেল ও একটি রোড সুইপিং ভেহিকেলের কথা বলা হয়েছে। এসব যন্ত্রপাতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে পিইসি সভায় আলোচনা করা যেতে পারে।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT