সমুদ্র কে না ভালোবাসে? নীল জলরাশি, বিশালতা, অজস্র ঢেউ, আরও কত কী! রোমাঞ্চকর এক অভিজ্ঞতাই হতে পারে সমুদ্রভ্রমনে। বিশ্বের সেরা সমুদ্রগামী জাহাজগুলো নিয়েই ধারাবাহিক এই লেখা। যে জাহাজগুলোতে প্রবেশ করলে মানুষ পৃথিবীর সেরা পাঁচ তারকা হোটেলকেও অতি সামান্য জ্ঞান করবে। সেইসব সেরা জাহাজের বর্ণনাই থাকবে এই লেখাতে।
নরওয়েজিয়ান এসকেপ জাহাজ তৈরীর ইতিহাসে এক অন্যতম সংযোজন নরওয়েজিয়ান এসকেপ। জার্মানির পেপেনবুর্গে অবস্থিত মেয়ার ওয়ারফট শিপইয়ার্ডে ১৭ মাসে জাহাজটি তৈরী করা হয়েছে। জাহাজটি তৈরী করতে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১১ হাজার ৮৬২ কোটি টাকারও ওপরে! ১ হাজার ৬৯ ফুট দীর্ঘ জাহাজটিতে আছে ২০টি ডেক। ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ১৫৭ টনের জাহাজটিতে ৪ হাজার ২৬৬ জন যাত্রী একসঙ্গে সমুদ্রভ্রমনে যেতে পারেন। পাশাপাশি ১ হাজার ৭৩৩ জন ক্রুর থাকার ব্যবস্থাও আছে।
মূলত ক্যারিবিয়ান অঞ্চলেই বেশিরভাগ চলাচল করে নরওয়েজিয়ান এসকেপ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ডমিনিকান রিপাবলিক, ভার্জিন আইল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, মেক্সিকো, কেম্যান আইল্যান্ড, জ্যামাইকা, বাহামাস ইত্যাদি অঞ্চলের কোস্টাল এলাকায় সমুদ্রগামী যাত্রীদের নিয়ে চলাচল করে জাহাজটি। আটলান্টিকের সৌন্দর্য্যই কেবল নয়, যাত্রীদের জন্য আরও অনেক বিনোদনের আয়োজন করে নরওয়েজিয়ান এসকেপ। দীর্ঘ অ্যাকুয়া রেসার, সুপার ফাস্ট ফ্রি ফল, অ্যাকুয়া পার্ক, রক ক্লাইম্বিং, মিনি গলফ কোর্স, বাস্কেটবল কোর্ট, ওয়াকিং অন দ্য প্ল্যাঙ্কসহ আরও অনেক কিছু। আউটডোর বিনোদনের পাশাপাশি ইনডোর বিনোদনেরও অভাব নেই এই জাহাজে। স্পা, স্টিম বাথ, হট টাব, স্নো রুমের পাশাপাশি আছে ফাইট ক্লাবও। বাচ্চাদের জন্য আছে এক বিরাট বড় কিডস ক্লাব। সেখানে নানারকমের গেমস খেলার সুযোগ আছে তাদের জন্য। এসবের পাশাপাশি মুখে জল নিয়ে আসা খাবার তো আছেই। বিখ্যাত আমেরিকান রেস্টুরেন্ট চেইন কোম্পানি জিমি বুফে মার্গারিটাভিলের সুস্বাদু খাবার পাওয়া যাবে সমুদ্রের ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে।
নরওয়েজিয়ান এসকেপ জাহাজে করে সমুদ্র ভ্রমণে যাবার জন্য অনলাইনে টিকেট ক্রয় করা যাবে।
https://www.taoticket.com/en/ এই ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন প্যাকেজের টিকেক কেনা যাবে। ৬০০ মার্কিন ডলার থেকে দেড় হাজার মার্কিন ডলার পর্যন্ত বিভিন্ন দামের প্যাকেজ পাওয়া যাবে অনলাইনে।
Leave a Reply