1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী পরিবহন তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বিশ্বখ্যাত মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রয়েল এনফিল্ড খুব শিগগিরই বাজারে আসছে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী এমটি কনসার্টো জাহাজে বাংলাদেশী নাবিকের মৃত্যুর তদন্ত দাবি লুব্রিকেন্ট আমদানিতে বাড়তি শুল্কায়নে ডলার পাচার বাড়বে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সম্পাদক ওসমান আলীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, অপসারণ দাবি

ঢাকা-খুলনা-মংলা থেকে সরাসরি ট্রেন যাবে শিলিগুড়ি

তাহমিন হক ববী, চিলাহাটি থেকে
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর, ২০২০

বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি ট্রেন রুট পুনরুজ্জীবিত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া এই রুটে এবার আন্তর্জাতিক ট্রেনের হুইসেল বাজবে। ৫৬ বছর পর ট্রেনের এই হুইসেল শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন উত্তরাঞ্চলবাসী। চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথটিকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যোগাযোগ এবং ব্যবসাবান্ধব রেলপথ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানে এই রেলরুটের আওতা সংযুক্ত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে (স্বাধীনতার ৫০ বছর) ১৬ ডিসেম্বর/২০২০ বা ২৬ মার্চ/২০২১) দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে রেল চলবে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি পথে। সেই ভাবেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

শিলিগুড়ি পর্যন্ত সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী জেলার চিলাহাটি ও ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার হলদিবাড়ি আন্তর্জাতিক সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে রেললাইন পাতানোর কাজ শেষ করা হয়েছে। সীমান্তের ২০০ মিটার নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় লাইনপাতার কাজ শেষ করেছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ পহেলা অক্টোবর। সূত্র মতে সড়ক পথে ব্যয় কমাতে নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি এই রেলপথকে সব থেকে গুরুত্ব দিচ্ছেন আমদানি ও রফতানিকারকগণ। মালগাড়ির পাশাপাশি ঢাকা ও খুলনা থেকে সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে শিলিগুড়ি পর্যন্ত। পাশাপাশি ভারতের শিয়ালদহ রেলস্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে বাংলাদেশের বেনাপোলে ঢুকবে ট্রেন। বাংলাদেশের ভেতরে যশোর, দর্শনা, পাকশী ঈশ্বর্দী, নাটোর, সান্তাহার, জয়পুরহাট, পার্বতীপুর, সৈয়দপুর, নীলফামারী ও চিলাহাটি পেরিয়ে ফের তা গিয়ে উঠবে ভারতের হলদিবাড়িতে। সেখান থেকে গিয়ে পৌঁছাবে দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ি।

বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, ২০১১ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় এই রেলপথের বিষয়ে একটি চুক্তি হয়। সেই চুক্তির ভিত্তিতে গত বছরের (২০১৯) ২১ সেপ্টেম্বর দুই দেশের রেল লাইন পাতার কাজ শুরু হয়েছিল। এই কাজের উদ্বোধন করেছিলেন রেলপথমন্ত্রী এ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন এমপি। কথা ছিল চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে দুই দেশ রেললাইন পাতানোসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ করবে এবং জুলাই থেকে ট্রেন চলাচল শুরু করা হবে। কিন্তু চলমান করোনাভাইরাসের লকডাউনের কারণে ভারত ও বাংলাদেশ চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ায় পুনরায় এই কাজ শুরু হয়। যা পহেলা অক্টোবর রেললাইন বিছানো সমাপ্ত করা হয়েছে।

জানা যায়, ১৮১৭ থেকে এই রেলপথ চালু ছিল। সে সময় নীলফামারীর সৈয়দপুরে গড়ে উঠেছিল অসম বেঙ্গল রেলওয়ে কারখানা। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে শেষবার ট্রেন চলেছিল ভারতের হলদিবাড়ি ও চিলাহাটির মধ্যে। সেইসময় দার্জিলিং মেইল নামের একটি ট্রেন কলকাতার শিয়ালদাহ থেকে ছেড়ে গেদে ও দর্শনা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে নীলফামারীর চিলাহাটি হয়ে হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি দিয়ে শিলিগুড়ি চলাচল করত। আবার একই পথে শিলিগুড়ি থেকে ট্রেন ঢুকত কলকাতায়। এছাড়া নীলফামারীর চিলাহাটি ও হলদিবাড়ি হয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত চলাচল করত পাসপোর্ট নামের আরেকটি ট্রেন। এছাড়া ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তান তৈরি হলেও ভারতের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানে যাতায়াতের জন্য উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রাচীন এই রেলপথটি সচল ছিল। ১৯৬৫ সালের পাক ভারত যুদ্ধের সময় থেকে এই পথটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া এই রুটকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়াসে আজ এটি নতুনভাবে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে এ রেলপথ প্রস্তুত করতে ভারতের পক্ষে ব্যয় ৪২ কোটি রুপী ও বাংলাদেশের ৮০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এছাড়া চিলাহাটি রেলস্টেশটি আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন হিসাবে নতুনভাবে তৈরি করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক রেলস্টেশনের আদলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারতের হলদিবাড়ি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত পাতা হয় (নো-ম্যান্স ল্যান্ডসহ) ৩ দশমিক ৩৪ কিমি রেললাইন। এছাড়া হলদিবাড়ি থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার রেলপথকে নতুন করে স্থাপন করা হয়। অপরদিকে বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি স্টেশন থেকে ভারতের সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার বিছানা হয়েছে রেলপথ। সেই সঙ্গে চিলাহাটি রেলস্টেশনে পৃথকভাবে পাতানো হয় ২ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপলাইন। এছাড়া চিলাহাটি থেকে ঢাকা ও খুলনা পর্যন্ত রেলপথ আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এছাড়া ডবল লাইন স্থাপনের চিন্তাভাবনা চলছে।

এদিকে শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, ভারতের হলদিবাড়ির দিক থেকে আসা ও চিলাহাটির দিক দিয়ে সীমান্ত পর্যন্ত যাওয়া দুই দেশের স্থাপিত রেললাইন এক সঙ্গে এসে মিলিত হয়েছে। শুধু দুই দেশের বিছানা রেললাইনের জোড়া লাগানো স্থানটিতে সামান্য ফাঁকা রাখা হয়েছে। যে কোন সময় রেললাইন জোড়া লেগে যাবে। এলাকায় শুরু হয়েছে আনন্দ উৎসবের ঘনঘটা। তবে এই দৃশ্য দেখতেই যেন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন ছুটে আসছে।

চিলাহাটির প্রবীণ ব্যক্তি আব্দুল রাজ্জাক বসুনিয়া। তিনি বললেন চিলাহাটি হলদিবাড়ি ট্রেন রুটটি আমার কাছে এক ইতিহাস। কলকাতা থেকে ট্রেনে সুনীতি দেবী তার পিতা বিখ্যাত ব্রাহ্মধর্ম প্রচারক কেশবচন্দ্র সেনের সঙ্গে কোচবিহার এসেছিলেন। আমাদের চিলাহাটি হয়ে ট্রেনে তারা নেমেছিলেন হলদিবাড়ি রেলস্টেশনে। সেই সুনীতি দেবীর সঙ্গে কোচবিহারের রাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ ভূপবাহাদুরের বিয়ে হয়। কোচবিহারের রানী ছিলেন সুনীতি দেবী। তার সেই পায়ের চিহ্ন রয়েছে চিলাহাটিতে। তিনি বলেন ১৯৬৫ সালে তৎকালীন সময় এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবার পর আর ভারতীয় ট্রেনের হুইসেল শুনতে পাইনি। ভেবেছিলাম হয়তো এই জীবনে ট্রেনের হুইসেল আমার কানে পৌঁছবে না। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের গতিধারায় আজ এই পথে ফের ট্রেন চলাচল শুরু করতে যাচ্ছে। শুনতে পাবো আবার ট্রেনের হুইসেল। এই প্রবীণ ব্যক্তি মনে করেন হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলে ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গেও রেলপথে যোগাযোগ স্থাপনে পদক্ষেপ করতে পারবে বাংলাদেশ। এতে দেশের উন্নয়নে ব্যবসা বাণিজ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। আমি বিশ্বাস করি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটিও করতে সক্ষম হবেন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘজীবী করুন।

ভারতের উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারী শুভানন চন্দের কথায়, বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত রেললাইন বসানোর কাজ শেষ। ডিসেম্বরেই দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলাচলে কোন সমস্যা হবে না। অপরদিকে চিলাহাটি স্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার লাইন বিছিয়ে বাংলাদেশ। সঙ্গে ২ কিলোমিটারের লুপলাইনও পাতানো হয়। এখন স্থাপন করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সিগন্যাল। মাটির নিচে বৈদ্যুতিক তার পাতা হয়ে গিয়েছে। সিগন্যাল পোস্টও বসানো হয়েছে। মূলত দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতেই ওই রেলপথ চালু হচ্ছে। চালু হওয়ার পর আপাতত ওই পথে শুধুমাত্র মালগাড়ি চলবে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি হয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ফের রেল যোগাযোগ শুরু হবে। প্রথমে মালগাড়ি চলবে। হলদিবাড়ি ও জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হবে অন্যতম বেস্ট স্টেশন। এই স্টেশন থেকে পণ্য উঠানো-নামানো হবে। তবে ভবিষ্যতে ওই রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো হবে।

সূত্র মতে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন চলাচলের মোট ৭টি সীমান্ত চেকপয়েন্ট রয়েছে। তার মধ্যে দর্শন গেদে দিয়ে মৈত্রী এক্সপ্রেস ও মালবাহী ট্রেন, বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে বন্ধন এক্সপ্রেস ও মালবাহী ট্রেন এবং বিরল দিয়ে মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। এবার সীমান্ত পেরিয়ে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি মধ্যে চলবে ট্রেন।

চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথটিকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যোগাযোগ এবং ব্যবসাবান্ধব রেলপথ হিসেবে গণ্য করে নীলফামারী চেম্বারের সভাপতি মারুফ জামান বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শুধু মুখে বলেন না। তিনি যা বলেন তা বাস্তবায়ন করে আমাদের সামনে তুলে ধরেন। এমনটাই আজ বাস্তবে পরিণত হলো-চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ট্রেন রুটটি। তিনি বলেন, সড়ক পথে আমদানি রফতানিকারকগণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। এছাড়া সড়ক পথে ভারত থেকে আমদানি ও বা রফতানি করতে পরিবহন খরচ বেশি পড়ে। সেই ক্ষেত্রে ট্রেনে মালামাল পরিবহন অনেকটাই সাশ্রয়ীি। আমরা অত্যন্ত খুশী আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করতে যাচ্ছেন আমাদের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত বছর ২১ সেপ্টেম্বর এই রেলপথ নির্মাণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় সদ্য বিদায়ী ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস বলেছিলেন, একসময় দার্জিলিং মেইল শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে আসা রেল, রানাঘাট, ভেড়ামারা, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, সান্তাহার, হিলি, পার্বতীপুর, নীলফামারী, চিলাহাটি, ভারতের হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়িতে চলাচল করত। সেটার আদলেই এই পথে আবারও দুই দেশের মধ্যে রেল চালু হবে। এর ফলে কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা একটি রেল বাংলাদেশের ভূখ-ে প্রবেশ করে খানিকটা পথ পাড়ি দিয়ে আবার ভারতে প্রবেশ করে গন্তব্যে পৌঁছাবে। এভাবে যাতায়াতের ফলে ভারতের রেলে যাত্রাপথ অন্তত ২০০ কিলোমিটার কমে যাবে। বর্তমানে শিয়ালদহ থেকে শিলিগুড়ির দূরত্ব ৫৩৭ কিলোমিটার।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রেলপথটি বাংলাদেশ ও ভারত, উভয় দেশের রেলই ব্যবহার করবে। ভারতের রেল যেমন এই পথ ব্যবহার করে শিলিগুড়ি যাবে, তেমনি বাংলাদেশের রেলও পথটি ব্যবহার করে শিলিগুড়ি থেকে পণ্য আনা নেয়া করতে পারবে। মালবাহী ট্রেনের পাশাপাশি এই পথে চালু হবে যাত্রীবাহী ট্রেন। যেভাবে এখন খুলনা-কলকাতা বা কলকাতা-ঢাকা রেল যোগাযোগ রয়েছে, এটিও তেমন একটি রেল যোগাযোগ হবে।

অপরদিকে অনেকে মনে করছেন শিলিগুড়ির সঙ্গে ঢাকা ও খুলনার থেকে সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হলে তা হবে অত্যন্ত লাভজনক। পর্যটকরা ভারত সফরে শুরুতেই দার্জিলিংকে বেছে নেন। দার্জিলিং ঘুরে পর্যটকরা অনায়াসেই শিলিগুড়ি থেকে বিমানে বা ট্রেনে ভারতের বিভিন্ন স্থান পরিভ্রমণ করতে পারবেন।

রেলপথমন্ত্রী এ্যাডভোকেট মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন এমপি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী অতিক্রম করতে পারলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলরুট উদ্বোধন করা হবে। আর সম্পূর্ণ নিরাপদ না হলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হবে। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর সুবর্ণজয়ন্তীতে এটি আমরা উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যে সোনালি অধ্যায়ের সূচনা করেছেন, তারই ফলে এই রেলপথ চালুর কার্যক্রম আমরা অচিরেই সফলতার মুখ দেখতে যাচ্ছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, অবিভক্ত ভারতের রেল যোগাযোগের এটিই প্রধান পথ ছিল। পাকিস্তান-ভারত ভাগ হওয়ার পরও ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত সেটি চালু ছিল। কলকাতা থেকে এ পথে ট্রেন চলাচল করত। সেই যোগাযোগটি ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, গত জুন মাসে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯-এর কারণে আমরা মহাদুর্যোগের মধ্যে আছি। তারপরও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা, বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প পরিচালকের আন্তরিকতায় কাজটি শেষ করতে পেরেছি। এখন আমরা উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT