কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অন্তত ৬০ টি জাহাজ কাটা প্রতিষ্ঠান বা ব্রেকিং ইয়ার্ড সচল আছে ? যদিও কাগজে কলমে আছে দেড় শতাধিক আর এ সব কারাখানায় বছরে আড়াইশ থেকে তিনশ স্ক্র্যাপ জাহাজ কাটা হয়। এই শিল্পে কাজ করেন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার শ্রমিক। অভিযোগ আছে, এখানে রাতে শিশু শ্রমিকদেরও কাজ করানোসহ অরো অনেক অভিযোগ রয়েছে এই শিল্পের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমাদের মিডিয়া সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেনো এ ব্যাপারে কোনো সজাগ নেই!
সে শিল্পের মাধ্যমে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব খুবই সুস্পষ্ট। বিশ্ববাজারে বর্তমানে ৪০ হাজার কোটি ডলারের বাজার উন্মুক্ত রয়েছে। এই বাজার ধরতে উন্নয়নশীল দেশগুলো এই শিল্পের দিকে মনোযোগী হচ্ছে। এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ভারতের এক কোম্পানী অ্যালাং ১৯৮২ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মােট ৩৮০০টি মেয়াদ উত্তীর্ণ জাহাজ ভাঙে যা গড়ে প্রায় ১৮১ টি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ঐ একই কোম্পানী ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গড়ে প্রতি বছর ২৫০ টি জাহাজ ভাঙে। এই ছোট একটি সমীক্ষা থেকে বুঝা যায় উন্নয়নশীল দেশগুলো উপর অর্থনীতিতে এই শিল্পের প্রভাব কতটুকু।
জাহাজ ভাঙা শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। এই শিল্পকে আরো এগিয়ে নেয়ার জন্য মালিক, শ্রমিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থাগুলোকে একত্রিত হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার দিকে কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পূর্ণ নিশ্চিত করতে হবে জাহাজের পরিবেশ নিরাপদ কিনা। সকল শ্রমিকদের চাওয়া-পাওয়ার উপর জোরদার করা যাতে করে এই শিল্প আরো প্রসারিত হয় এবং দেশে আরো উন্নতি সাধিত হয়…
লেখকরা চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।
Leave a Reply