1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
র‌য়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির নতুন ৪ বাইকের যত ফিচার ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা

কেমন চলছে জাহাজভাঙা শিল্পের অভ্যন্তরীণ অবস্থা

আকলিমা আক্তার, রিতু, মোকাররমা, জান্নাত, রিব্বি, বিশাখা বিশ্বাস
  • আপডেট : বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০

উন্নয়নশীল দেশগুলোর বদৌলতে জাহাজ ভাঙা শিল্প পুরো বিশ্বে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। মূলত যেসব পণ্যবাহী বা যাত্রীবাহী জাহাজের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়, সেসব জাহাজের মালিকেরা ঐ জাহাজগুলো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে তা বিক্রি করে। প্রতি বছর প্রায় গড়ে ৬০০ টি পুরানো জাহাজ দক্ষিণ এশিয়ার মত দেশগুলোতে কাটা হচ্ছে। জাহাজ ভাঙা শিল্পকে কেন্দ্র করে এসব দেশের সমুদ্র সৈকতগুলোতে গড়ে উঠেছে বড় বড় রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রি। যেসব এলাকায় এ ধরনের ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে সেসব এলাকার অর্থনীতির মূল চাকা এই ইন্ডাস্ট্রিকেই কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়।

কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে অন্তত ৬০ টি জাহাজ কাটা প্রতিষ্ঠান বা ব্রেকিং ইয়ার্ড সচল আছে ? যদিও কাগজে কলমে আছে দেড় শতাধিক আর এ সব কারাখানায় বছরে আড়াইশ থেকে তিনশ স্ক্র্যাপ জাহাজ কাটা হয়। এই শিল্পে কাজ করেন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার শ্রমিক। অভিযোগ আছে, এখানে রাতে শিশু শ্রমিকদেরও কাজ করানোসহ অরো অনেক অভিযোগ রয়েছে এই শিল্পের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমাদের মিডিয়া সহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেনো এ ব্যাপারে কোনো সজাগ নেই!
সে শিল্পের মাধ্যমে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব খুবই সুস্পষ্ট। বিশ্ববাজারে বর্তমানে ৪০ হাজার কোটি ডলারের বাজার উন্মুক্ত রয়েছে। এই বাজার ধরতে উন্নয়নশীল দেশগুলো এই শিল্পের দিকে মনোযোগী হচ্ছে। এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ভারতের এক কোম্পানী অ্যালাং ১৯৮২ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মােট ৩৮০০টি মেয়াদ উত্তীর্ণ জাহাজ ভাঙে যা গড়ে প্রায় ১৮১ টি। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ঐ একই কোম্পানী ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত গড়ে প্রতি বছর ২৫০ টি জাহাজ ভাঙে। এই ছোট একটি সমীক্ষা থেকে বুঝা যায় উন্নয়নশীল দেশগুলো উপর অর্থনীতিতে এই শিল্পের প্রভাব কতটুকু।
জাহাজ ভাঙা শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। এই শিল্পকে আরো এগিয়ে নেয়ার জন্য মালিক, শ্রমিক ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থাগুলোকে একত্রিত হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার দিকে কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পূর্ণ নিশ্চিত করতে হবে জাহাজের পরিবেশ নিরাপদ কিনা। সকল শ্রমিকদের চাওয়া-পাওয়ার উপর জোরদার করা যাতে করে এই শিল্প আরো প্রসারিত হয় এবং দেশে আরো উন্নতি সাধিত হয়…

লেখকরা চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT