রেলওয়ে সূত্র জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কর্ণফুলী নদীর উপর প্রস্তাবিত রেললসেতু নির্মাণের স্থানে উপস্থিত হয়ে নির্মাণস্থান পরিদর্শন করবেন মন্ত্রী। বিকালে পাহাড়তলীর প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। সেখান থেকেই ডিজেল ওয়ার্কশপও পরিদর্শন করবেন মন্ত্রী। সেখানে নতুন আমদানিকৃত ১০টি এমজি ডিজেল লোকোমোটিভ পরিদর্শন করবেন।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ)তৌষিয়া আহমেদ পূর্বদেশকে বলেন, ‘আকস্মিক সফরেই মন্ত্রী মহোদয় চট্টগ্রামে আসছেন। প্রথমত তিনি কালুরঘাটে প্রস্তাবিত রেলসেতু এলাকা পরিদর্শন করবেন। পরে ডিজেল ওয়ার্কশপ ও সিসিএস দপ্তরে যাবেন।’
সিসিএস দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারদরের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে সেখানে কেনাকাটা করা হয়। সরঞ্জাম ক্রয়-বিক্রয়ে এ দপ্তরে ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়। সেখানে গড়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। অতিরিক্ত প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (ক্রয়) আনোয়ার হোসেন এ সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে আছেন। তার দপ্তর ঘিরেই ঠিকাদারদের আনাগোনা বেশি। সেখানে বিশেষ কয়েকজন ঠিকাদার ছাড়া যে কেউ কাজ পায় না বলে অন্য ঠিকাদারদের অভিযোগ। একই সিন্ডিকেটের অস্তিত্ব রয়েছে ডিজেল ওয়ার্কশপ ও পূর্বাঞ্চল সরঞ্জাম (সিওএস) দপ্তরেও।
এ বিষয়ে জানতে বেশ কয়েকবার কল দিলেও ফোন ধরেননি প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক রুহুল কবির আজাদ। মাস খানেক আগে পূর্বদেশের সাথে সাক্ষাতকালে সেখানে কেনাকাটায় কোন অনিয়ম হয় না বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
ডিজেল ওয়ার্কশপের কয়েকজন শ্রমিক জানান, ডিজেল ওয়ার্কশপে প্রতিবছর ইঞ্জিন মেরামত, ইঞ্জিনে সরঞ্জাম লাগানো, ডেমু মেরামত ও ট্রাকশন মোটর মেরামতের নামে প্রচুর অর্থ নয়ছয় করা হয়। সেখানে কেনাকাটায় ব্যাপক দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। ডিজেল ওয়ার্কশপের কর্মব্যবস্থাপকের সাথে শীর্ষ কয়েকজন ঠিকাদারের সখ্যতা আছে। সুযোগটি কাজে লাগিয়ে এসব ঠিকাদাররাই কোটি টাকার কাজ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ দপ্তরে ভুয়া চাহিদা দেখিয়ে নানা সরঞ্জাম কেনার বিনিময়ে কমিশন ভোগ করছেন ডিজেল ওয়ার্কশপ কর্মব্যবস্থাপক রাজীব দেবনাথ। এই কার্যালয়ে গত এক বছরে যেসব কাজ হয়েছে তা তদন্ত করলেই সকল অনিয়ম ধরা পড়বে। ঘুরেফিরে পাঁচ থেকে দশটি প্রতিষ্ঠানই সেখানে পিপিআর সিস্টেমে কেনাকাটায় লিপ্ত থাকে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply