পূর্ব সন্দ্বীপের উপকূল ঘেঁষে বিশাল কেওরা বন যেন সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভের মত সৌন্দর্যের পসরা সাজিয়েছে। এ বনের মাঝে মাঝে সন্দ্বীপ চ্যানেলের সাথে সংযুক্ত আঁকা বাঁকা খাল সৌন্দর্যের নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সাগরের বুক চিরে সন্দ্বীপের পশ্চিম পাশে রহমতপুর-হরিশপুর স্পটে সাবেক স্টিমার ঘাট এলাকায় জেগে উঠেছে বিশাল চর।পড়ন্ত বিকেলে সূর্য স্নানের দৃশ্য দেখার জন্য এটি ইতোমধ্যে দর্শনার্থীদের আকর্ষণীয় মনোরম স্থানে পরিণত হয়েছে। সন্দ্বীপে দক্ষিনের ছোয়াখালী এলাকার উন্মুক্ত দখিনা হাওয়া এবং উপকূল ঘেঁষে সাগর থেকে উঠে আসা চিক চিক বালি যেন আমাদেরকে কক্সবাজার সৈকতের সম্ভাবনা দেখায়। তার পাশ থেকে পশ্চিম দিকে দীর্ঘ ৮/১০ কিলোমিটার জুড়ে নতুন বেড়িবাঁধের সাথে যুক্ত হচ্ছে সিসি ব্লক। এ বেড়িবাঁধে দাঁড়িয়ে দক্ষিণে তাকালেই চলমান দেশী-বিদেশী নৌযানের বিশাল বহর দেখলে পতেঙ্গা সমুন্দ্র সৈকতের কথা মনে পড়বে। ৪২ কিলোমিটার টেকশই বেড়িবাঁধ নির্মাণ শেষ হলে বেড়িবাঁধের উপর পাকা রাস্তা তৈরী করে এবং এ সড়কের দু’পাশে সড়কবাতির মাধ্যমে দ্বীপের চতুর্দিক আলোকিত করলে সৌন্দযর্ পিয়াসীরা সাগর কন্যা সন্দ্বীপের সৌন্দর্যকে পর্যটনসমৃদ্ধ বিদেশী কোন রাষ্ট্রের সাথে তুলনা করবেন।
এদিকে গুপ্তছরা ঘাটে যাতয়াতে সুবিধার্ত্বে নির্মিত ৬০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে জেটিটিতে দুই পাশে ল্যাম্প পোস্টের কারণে সৌন্দর্য্য বর্ধন হওয়াতে ভীর জমাচ্ছে দর্শণার্থীরা। এতসব সম্ভাবনা থাকা সত্বেও একসময় এ শিল্প বিকাশের পথে প্রধান অন্তরায় ছিল বিদ্যুৎ। সাগরের তলদেশ দিয়ে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ আসার পর এ সমস্যা এখন দূরীভূত হয়েছে। দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকৃষ্ট করার মত এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায় সরকার। পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে উঠলে সবুজে ঘেরা সাগর বেষ্টিত এ দ্বীপটি ফিরে পাবে তার আগের ঐতিহ্য। যখন এ দ্বীপে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা দূর-দূরান্ত থেকে ঘুরতে আসত।
Leave a Reply