ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা নির্বাচিত হওয়ার আগে ঢাকার গণপরিবহনের শৃঙ্খলা আনয়ন, যানজট নিরসন এবং কোম্পানিভিত্তিক বাস পরিচালনা সংক্রান্ত কমিটির ১১টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেসব সভার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দুটি বিষয় ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি বলেন, এ কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল নতুন করে কোনো রুটপারমিট দেয়া হবে না; কিন্তু দেয়া অব্যাহত রয়েছে। ধানমণ্ডি, উত্তরাসহ কয়েকটি চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছিল। কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া সেসব রুট থেকে বিআরটিসির বাস সার্ভিস তুলে নেয়া হয়েছে। শুধু বাস রুট র্যাশনালাইজেশন এবং বাস টার্মিনাল এবং ডিপোর বিষয়ে দুটি সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।
যেটা নিয়ে আমাদের নতুন করে কাজ শুরু করতে হবে। এজন্য আমরা ১০ নভেম্বর এ কমিটির সভা আহ্বান করেছি। সেখানে আমরা নতুন করে কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ ডিএসসিসি মেয়রকে আহ্বায়ক করে ডিএনসিসি মেয়রসহ ১২টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধি করে একটি কমিটি গঠন করে। বাস রুট র্যাশনালাইজেশন, কোম্পানির মাধ্যমে বাস পরিচালনা করে গণপরিবহনের শৃঙ্খলা আনয়ন করে যানজট নিরসন করাই মূলত এ কমিটির প্রধানতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। তিনি বলেন, আনিসুল হকের গৃহীত এ পদক্ষেপ আমলে নিয়ে কার্যক্রম করা। এটা নতুন আঙ্গিকে কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া যায়, সে ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ যা কিছু হচ্ছে, এরপরও ৬৩ ভাগ মানুষ গণপরিবহনে চলাচল করবে। এ কারণে বাস সেবার মান উন্নয়ন ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। যে কোনো মূল্যে গণপরিবহনের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়টিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। এখন আমরা দুই মেয়র মিলে সামনে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।