চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী হাটহাজারী বাজার রক্ষা করে হাটহাজারী-কুমিরা সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এক্ষেত্রে বাজারের উত্তরে পৌরসভার মেডিকেল গেইট সড়ক অথবা এগারো মাইল ওয়াহিদুল আলম সড়কটি দিয়ে হাটহাজারী-কুমিরা সড়কটি নির্মাণ করার জন্য এলাকাবাসী স্থানীয় সাংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত আবেদন করেছে বলে জানা গেছে। গত ৪ অক্টোবর পৌর সদরের একটি রেস্টুরেন্টে হাটহাজারী বাজার ব্যবসায়ী, দোকান মালিকসহ স্থানীয় এলাকাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তারা তাদের দাবির বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এড. সৈয়দ মোখতার আহম্মেদ সিদ্দিকী। ব্যস্ততম হাটহাজারী বাজার দিয়ে কুমিরা সড়ক নির্মিত হলে বাজারে দীর্ঘস্থায়ী যানজট বেড়ে গিয়ে সরকারের মূল লক্ষ্য যানজটমুক্ত সড়ক নির্মাণ বাধাগ্রস্থ হবে এমনটা দাবী করে এলাকাবাসীরা জানান, নির্মিতব্য সড়টির উভয় পার্শ্বে ৬টি মসজিদ, ৮টি কবরস্থান, ২টি বিদ্যালয়, ২টি মাদ্রাসা ও ২টি মক্তবসহ আরও বহু ধর্মীয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ সড়কটি বাজারের মূল কেন্দ্রে। সড়কটি সম্প্রসারণ করা হলে হাজারো ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকগণের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। এছাড়া সড়কের দু’পাশের হাজারো বাড়ি-ঘর, শতাধিক দোকান বহু শপিংমল ভাঙা পড়বে। এতে বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত ছাড়াও গৃহহীন হয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সকলে কর্মহীন হয়ে পড়বে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হাটহাজারী-কুমিরা সড়কটি নির্মাণ হলে হাটহাজারীবাসীর ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। উপকৃত হবে পাশ^বর্তী ফটিকছড়ি, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়াসহ দুই পার্বত্য অঞ্চলের জনসাধারণ। তবে সড়কটি মেডিকেল সড়ক বা ওয়াহিদুল আলম সড়ক দিয়ে নির্মিত হোক। ফলে একদিকে সরকারের কোটি টাকা সাশ্রয়ের পাশাপাশি উপকৃত হবে হাজারো মানুষ এবং রক্ষা পাবে হাটহাজারী বাজার। হাটহাজারী বাজার সড়ক দিয়ে যেভাবে মানুষের বসবাসসহ স্থাপনা রয়েছে কিন্তু ওই সড়কগুলোতে (মেডিকেল গেইট বা ওয়াহিদুল আলম সড়ক) জনসাধারণের বসবাস তেমন নেই। তাই জমি অধিগ্রহণ বাবদ সরকারের এক তৃতীয়াংশেরও কম টাকা খরচ হবে। এদিকে বিষয়টি স্থানীয় সাংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপিকে অবহিত করা হলে তিনি তা খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। একই সাথে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ মুহাম্মদ হারুণ, আলহাজ কাজী সৈয়দ আতিক উল্লাহ, আলহাজ মো. নুরুল ইসলাম সওদাগর, এড. মো. সিরাজুল ইসলাম সেলিম, মোহাম্মদ এমরান, মো. রশিদ, মোহাম্মদ সাবের, মোহাম্মদ সাকেরুল আলম, এসএম সরোয়ার, হাদী মোহাম্মদ জাহেদ, মোহাম্মদ বোরহান, রাজীব রায় প্রমুখ।
Leave a Reply