রহিমআফরোজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান লুকাস ব্যাটারির কাছে ৫৫০ কোটি টাকা চাঁদা দাবির ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। একই সঙ্গে ইউটিউবে এ বিষয়ে প্রচারিত ভিডিও বন্ধের পাশাপাশি ভবিষ্যতে এমন অপ্রচার যাতে না হয়, সেজন্য প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

লুকাস ব্যাটারির মহাব্যবস্থাপক (মানব সম্পদ, প্রশাসন ও রেগুলেটরি অফিসার) মেজর একেএম নিয়ামুল হক (অব.) গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইউটিউবের খবরটি পুরোপুরি মিথ্যা বলে জানান। রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘গত ২ আগস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি টক শো আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এতে ড. কনক সরোয়ার, মেজর দেলোয়ার হোসেন (অব.) ও ইলিয়াস হোসেনকে উপস্থিত দেখা যায়। দেলোয়ার হোসেন ওই অনুষ্ঠানে বলেন, লুকাস ব্যাটারির কাছে ৫৫০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করার চেষ্টা করা হয়েছে। সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি, তিনি চাঁদা দাবির বিষয়ে যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

লুকাস ব্যাটারির মহাব্যবস্থাপক বলেন, প্রকৃতপক্ষে কেউ কোনো চাঁদা দাবি করেনি। এমন বানোয়াট বক্তব্যের কারণে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ লুকাস ব্যাটারির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এটি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ অনলাইন ও ইউটিউবে প্রচারিত বক্তব্য বন্ধের দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের অপ্রচার রোধে প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

উপস্থাপক কনক সরোয়ারের একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ চ্যানেলে আলোচনার আয়োজন করেন। সম্প্রতি মেজর দেলোয়ার হোসেন (অব.) ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনকে নিয়ে ওই চ্যানেলে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলেন কনক সরোয়ার। এর একপর্যায়ে লুকাস ব্যাটারির কাছে চাঁদা দাবির বিষয়টি তুলে ধরেন দেলোয়ার হোসেন।