নিরাপত্তার স্বার্থে দেশের সব বিমানবন্দরে প্রবেশে পাস ডিজিটাল হচ্ছে। স্মার্ট কার্ডের আদলে তৈরি এই পাস পাঞ্চ করেই ভেতরে প্রবেশ করা যাবে। সচিব পদবির নিচে কাউকে এই কার্ড না দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। কূটনীতিক ও অন্য ভিআইপিদের পাসের ক্ষেত্রেও আসছে নিয়ন্ত্রণ। একই সঙ্গে বাতিল হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নামে দেওয়া কিছু স্থায়ী ও অস্থায়ী পাস।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তারা বলেন, সব বিমানবন্দরে এই ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত হলেও প্রাথমিকভাবে শুরু হবে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। পর্যায়ক্রমে এটি অন্যান্য বিমানবন্দরেও চালু হবে। বেবিচকের পাঠানো এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রণালয় অনুমোদন করেছে।
রাজধানীর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দরে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মী রয়েছে। বিমানবন্দরে পালাক্রমে দায়িত্ব পালনে নিজস্ব সংস্থার পাস (আইডি কার্ড) ছাড়াও বেবিচকের দেওয়া নিরাপত্তা পাস ব্যবহার করা হয়। গেটে বেবিচকের নিরাপত্তা পাস দেখিয়ে বিমানবন্দর টার্মিনাল ভবনে প্রবেশ করেন সবাই।
এ ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইসিএও) নিয়ম অনুযায়ী ডিজিটাল হচ্ছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পাস। এতে বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে বিশ্বমানের তৃতীয় টার্মিনালসহ দেশের সব বিমানবন্দরে উন্নয়নমূলক নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে। ১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে (ভার্চুয়াল) সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২১০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এইচএম তৌহিদুল আহসান জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা পাসে (আধুনিকায়ন) আরও জোরদার হবে বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিমানবন্দরে কমবে অপরাধ চক্রের তৎপরতা।
Leave a Reply