এবারে অপু বিশ্বাসের জন্মদিনটা অন্যরকম হয়ে এল। যার প্রভাব পড়েছে ভক্তদের ওপরেও। তারপরেও ভক্তরা নমনীয় ভালোবাসা দেখিয়েছে। গোটা বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের তাণ্ডবলীলা চলছে। ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা, যদিও এই মারণ ভাইরাসকে উপেক্ষা করেই ‘নিও নরমাল লাইফ’ শুরু করেছে বিশ্ববাসী।
কিছুদিন আগেই মারা গেছেন অপু বিশ্বাসের মা। একমাত্র আস্থার জায়গা হারিয়ে অপু অনেকটা এখন ভেঙে পড়েছেন। যার ফলে এবারের জন্মদিনটা অপুর জীবন ঠিক যেন সুর কেটে যাওয়া এক সঙ্গীতের মতোই হয়ে এল।
তবে অপু এদিনে মায়ের স্মৃতিতে কাতর ছিলেন। ফেসবুকে অপু মায়ের জন্য আরো লিখেছেন, তুমি যেখানে থাকো, অনেক ভালো থেকো মা। আমার এই দিনে তুমি আশীর্বাদ কোরো তোমার চাওয়া ‘জয়কে ডাক্তার বানানো’ আমি যেন পূরণ করতে পারি।
অন্যদিকে, ভক্তরা প্রিয় নায়িকাকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি। শুধু তাই নয় ভক্তদের যে প্ল্যাটফরম রয়েছে তার পক্ষ যদিও বড় কোনো আয়োজন করা হয়নি। তবে থেকে পথশিশুদের খাবার ও কাপড় বিতরণ করা হয়েছে। ব্রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় টিম অপু বিশ্বাসের সদস্যরা অসহায় পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে।
টিম অপুবিশ্বাসের সদস্যরা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘অপু বিশ্বাসের জন্মদিন উপলক্ষে টিম অপু বিশ্বাসের পক্ষ থেকে পথ শিশুদের খাবার এবং কাপড় বিতরণ করলাম। আর সেটা হাতিরঝিলে হয়েছে রবিবার। ২০১৮ সালে অনেক বড় করে অপুকে দিদিকে রেখে আয়োজন করছি। এবার দেশের পরিস্থিতি এবং দিদির মা মারা যাওয়ায় তেমন কিছু করি নি। দিদি ভিডিও কলে কথা বলেছে সবার সাথে। আমরা দিদির জন্য শুভ কামনা জানাচ্ছি।’
অপু বিশ্বাসের আসল নাম অবন্তী বিশ্বাস। ১৯৮৯ সালের ১১ অক্টোবর বগুড়া জেলার সদর থানার কাটনারপাড়া এস কে লেনে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস এবং মা শেফালী বিশ্বাস। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট অপু। তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে বগুড়াতেই। স্কুলজীবন থেকেই নাচের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অপু। বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে তিনি নাচ শিখেছেন। নাচের সূত্রেই তাঁর অভিনয়ে যুক্ত হওয়া। ২০০৪ সালে প্রখ্যাত নির্মাতা আমজাদ হোসেনের ‘কাল সকালে’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে অপু বিশ্বাসের।
Leave a Reply