পরিকল্পনা কমিশন বলছে, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে মাগুরা অংশের জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ব্যয় প্রাক্কলনের প্রত্যয়ন সংগ্রহ করা হলেও যশোর অংশের প্রত্যয়ন সংগ্রহ করা হয়নি। যা সংগ্রহপূর্বক ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন।

প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদন করা হয়নি। তবে প্রজেক্ট অ্যাপ্রাইজল রিপোর্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রকল্পের গুরুত্ব ও প্রাক্কলিত ব্যয় বিবেচনায় অবশ্যই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদন করতে হবে। প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদকাল গত বছরের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের জুন নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্প শুরুর তারিখ এরই মধ্যে অতিক্রান্ত হওয়ায় বাস্তবায়ন মেয়াদকাল যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করা যেতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, প্রকল্পের ইউটিলিটি স্থানান্তর বাবদ ২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা থেকে হিসাবে রাখা হয়েছে। বাস্তবতায় দেখা যায়, ইউটিলিটি স্থানান্তরের পাশাপাশি নির্মাণকাজ শুরু না হলে পুনরায় তা বিভিন্নভাবে বেদখল হয়ে পড়ে। তাছাড়া, বাস্তবে কোন সংস্থার কী পরিমাণ ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রয়োজন তা সরেজমিন তদন্তপূর্বক নির্ধারণ করাই সমীচীন। কাজেই এ অধিগ্রহণ প্রকল্প থেকে ইউটিলিটি স্থানান্তর কার্যক্রমটি বাদ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।

প্রকল্পের আওতায় ৫ হাজার ৫৮৭টি কনক্রিট গাইড পোস্টের জন্য ১৩০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু কনক্রিট গাইড পোস্টের সংখ্যা নির্ধারণ ও ব্যয় প্রাক্কলনের ভিত্তির বিষয়ে সওজকে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে সওজ বলছে, প্রকল্প থেকে মাগুরা শহর বাইপাস নির্মাণ অংশটি বাদ দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনার সিদ্ধান্ত হয় ২০১৯ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত পিইসি সভায়। এ সিদ্ধান্তের আলোকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে একটি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তাবিত মাগুরা লিংক অংশটি যথাসম্ভব দূরত্ব কমিয়ে নির্মাণের সংস্থান রেখে সরেজমিন পুনঃপরিদর্শনপূর্বক প্রণীত প্রকল্পের পুনর্গঠিত ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে পুনর্গঠিত ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রথম পিইসি সভায় উপস্থাপিত ডিপিপিতে ৫১১ দশমিক ২২ একর ভূমি অধিগ্রহণে ১ হাজার ৯৫৬ দশমিক ২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দাবি করা হয়েছিল। পুনর্গঠিত ডিপিপিতে ৫২৮ দশমিক ৭৫ একর ভূমি অধিগ্রহণে ২ হাজার ২০১ দশমিক ৭১ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।

এক্ষেত্রে বাইপাস অংশের দূরত্ব কমানো হলেও ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ ও ব্যয় উভয়ই বেড়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে কমিশন। এছাড়া বাইপাস নির্মাণ ছাড়া আলোচ্য মহাসড়কের মূল অ্যালাইনমেন্ট বরাবর উভয় পাশে সার্ভিস লেনসহ ৬  লেনে উন্নীত করা হয় সেক্ষেত্রে কী সমস্যা হতে পারে তা সওজ অধিদপ্তরকে পরিকল্পনা কমিশনে ব্যাখ্যা দিতে হবে।