করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ বিমানসংস্থার জন্য কাল হয়ে দেখা দিয়েছে। কাতার এয়ারওয়েজের সিইও আকবার আল বাকের মনে করেন, শুধু কাতার এয়ারওয়েজ নয়, বিশ্বের সব বিমানসংস্থা একই অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি সিএনবিসিকে বলছেন, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় আঘাত আগের চেয়ে ভয়াবহ হতে পারে। তবে আমরা সহজে হার মানব না। লোকসান হলেও কোম্পানি চলমান থাকবে।
ট্রাভেল ডাটা কোম্পানি কিরিয়াম জানিয়েছে, বিস্ময়কর বিষয় হল- এবছর বিশ্বের ৪৩টি বাণিজ্যিক বিমানসংস্থা ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। তারা এখন দেউলিয়া। তাদের ৪৮৫টি বিমান যান পার্কিংয়ে পড়ে আছে।
গত ১০ বছরের মধ্যে এমন চিত্র এয়ারলাইন্সের জন্য একেবারেই বিরল। কারণ এসময়ের মধ্যে বিশ্বে এয়ালাইন্সের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
আল বাকের বলছেন, অন্যদের মতো আমিও এয়ারলাইন্স বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছি। তবে যারা এই মহামারীর মধ্যেও ভাল করছে তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি। আল বাকের বলছেন, করোনার কারণে বিমানসংস্থাগুলোর সক্ষমতা আরও হ্রাস পাবে, যা জনসাধারণনের বিমানভ্রমণের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
কাতার এয়ারওয়েজ উপসাগরীয় অঞ্চলের একটি ছোট বিমান কোম্পানি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে কোম্পানিটি ১.৯ বিলিয়ন ডলার লোকসান দিয়েছে। করোনাভাইরাস ও সৌদি আরবের নেতৃত্বে চলমান অবরোধই মূলত এই লোকসানের কারণ। আল বাকের বলছেন, কিন্তু সহজে হার মানব না। বিশ্বের প্রতিটি এয়ারলাইন্সের মতো আমরাও লোকসানের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। বড় বড় বিমান কোম্পানি যে সংখ্যক ফ্লাইট চালাচ্ছে আমরাও একই সংখ্যক ফ্লাইট চালাতে পারছি। কিন্তু ফ্লাইট ওয়ান ওয়ে হওয়ায় অনেক দেশই তাদের এয়ারপোর্ট বন্ধ রেখেছে।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, বছরের শেষ অর্ধেকে এয়ারলাইন্সগুলোকে আরও ৭৭ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে। সংকট উত্তরণে ধীর গতি হওয়ায় ২০২১ সালের প্রতি মাসে ৫-৬ বিলিয়ন ডলার খরচ চালাতে হবে।
আল বাকের বলছেন, কিছু দেশ তাদের বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে। এটা চরম বোকামি। তিনি বলছেন, তোমরা বিদেশি লোক দেশে ঢোকাতে চাও না ঠিক আছে, কিন্তু বিদেশিরা তো নিজ দেশে ফিরতে চায়। বিমানবন্দর বন্ধ রাখলে তা কিভাবে সম্ভব হবে।
Leave a Reply