বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, বিমানবন্দর ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে কোনও ধরনের আপস করা চলবে না। যেকোনও ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ও মোকাবিলার জন্য বিমানবন্দরে কর্মরত সবাইকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে। নিরাপত্তায় বিঘ্ন সৃষ্টির চেষ্টাকারীদের কোনও প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবার) সিলেটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ‘ফুল স্কেল এয়ারপোর্ট ইমারজেন্সি এক্সারসাইজ- ২০২০’ ও আন্তর্জাতিক লাউঞ্জের সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
মাহবুব আলী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মান উন্নয়ন ও যেকোনও ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও ইতোমধ্যে ফায়ার এলার্ম সিস্টেম, ডুয়েল ভিউ স্ক্যানিং মেশিন, ই.টি.ডি, আন্ডার ভেহিকেলস স্ক্যানিং সিস্টেমসহ সব আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে ‘
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও তত্ত্বাবধানে দেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে বড় ধরনের উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। সিলেটবাসীর সুবিধার কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেরও সম্প্রসারণের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। মোট ২ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে একাজ সম্পন্ন হবে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৪৫১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রানওয়ে শক্তিশালীকরণ ও এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপন কাজ সমাপ্তির পথে।’ তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ প্রধানমন্ত্রী গত ১ অক্টোবর উদ্বোধন করেছেন। এ পর্যায়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে নতুন আধুনিক টার্মিনাল ভবন,কার্গো ভবন, কন্ট্রোল টাওয়ার, প্রশাসনিক ভবন, মেইনটেন্যান্স ভবন, অ্যাপ্রোন, ট্যাক্সিওয়ে ও ইউটিলিটি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এই কাজ সমাপ্তির পর ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে একটি সর্বাঙ্গীন আধুনিক বিমানবন্দর।’
মাহবুব আলী বলেন, ‘যাত্রীসেবার মান উন্নয়নে দেশের সব বিমানবন্দরের সঙ্গে সঙ্গে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও কার্যক্রম পূর্বের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিমান যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিরাপদ ও স্বস্তির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। বর্তমান সময়ে এ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা, যাত্রী ও কার্গো হ্যান্ডেলিং কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হয়েছে। যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক লাউঞ্জ সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সুপরিসর এই লাউঞ্জ হতে বিমান ওঠা-নামা সরাসরি প্রত্যক্ষ করা যায়, যা যাত্রীদের অপেক্ষার সময়কে উপভোগ্য করে তুলবে। ’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর মো. খালিদ হোসেন, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
Leave a Reply