চলতি মৌসুমে বাংলাদেশে ইলিশ মাছের সরবরাহ ছিল প্রচুর। আজ থেকে ইলিশ মাছ ধরার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা চলছে সেটিকে বেশ কঠোরভাবেই প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। মা ইলিশ রক্ষায় দেশের বিভিন্ন নদীতে জেলেদের পাহারা বসানোর খবর পাওয়া গেছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, মা ইলিশ রক্ষার জন্য এখন এক ধরনের ‘যুদ্ধ চলছে’। তিন সপ্তাহের এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার দায়ে যারাই এবার ধরা পড়বে তাদের কঠোর শাস্তি দেবে ভ্রাম্যমান আদালত।চলতি বছর বাজারে ইলিশ মাছের দাম বিগত বছরগুলোর তুলনায় খানিকটা সস্তা হওয়ায় এ নিয়ে মানুষের উৎসাহ এবং আগ্রহ বেড়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, ইলিশ মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্যই সরকার বেশ জোরালোভাবে এ অভিযান পরিচালনা করছে।
এদিকে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আকাশ পথে হেলিকপ্টারে নজরদারি করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। তিনি আজ বুধবার সরেজমিনে মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান পরিদর্শনকালে চাঁদপুরের মোহনপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবে তাদের ঠিকানা হবে জেলখানা। জেলেদের পর্যাপ্ত পরিমান ভিজিএফ সহায়তা করা হবে। অতীতের চেয়ে বরাদ্দ আরো বাড়ানো হবে।
শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, করোনাকালে অনেক দেশে মানুষ না খেয়ে মারা যাওয়ার রেকর্ড আছে।
ইলিশের উৎপাদন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ইলিশের উৎপাদন এমন জায়গায় নিয়ে যাবো যেখানে প্রত্যেক গ্রামে প্রত্যেক ঘরে ঘরে ইলিশ খেয়েও রপ্তানির মাধ্যমে উন্নয়নে ভূমিকা রাখবো।
এসময় সচিব রওনক মাহমুদ, নৌ পুলিশ প্রধান আতিকুল ইসলাম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply