করোনাভাইরাসের কারণে পৃথিবীজুড়েই সব ধরণের ক্রুজ শিপ বন্ধ ছিল। বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকায়। করোনাভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভের ভয়ে ইউরোপে এখনো বন্ধ আছে ক্রুজ শিপ। সমুদ্রবিলাস যাদের প্রিয় তারা বেশ অস্থিরতায় সময় কাটাচ্ছিলেন। তবে সবার আগে আমেরিকান ক্রুজ শিপ এই অচলাবস্থা দূর করতে যাচ্ছে। বাহামা প্যারাডাইজ ক্রুজ লাইন অপারেটর তাদের সার্ভিস শুরু করতে যাচ্ছে। ফ্লোরিডা থেকে বাহামা পর্যন্ত সামুদ্রিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন ভ্রমণ পিপাসুরা। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই অপারেটর সেবা।
আগেও একবার ফ্লোরিডা-বাহামা ক্রুজ শিপ চালু করতে চেয়েছিল এই অপারেটর কোম্পানি। তবে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন কর্তৃপক্ষ সকল রকমের সেইলিং নিষিদ্ধ করায় তা আর হয়ে উঠেনি। কোম্পানির সিইও অনিল খোসা জানিয়েছেন, ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচ থেকে বাহামার ফ্রিপোর্ট পর্যন্ত ক্রুজ শিপ চলবে। দুই রাতের এই ভ্রমণে সমুদ্রবিলাস প্রিয় মানুষেরা যাতায়াত করতে পারবেন। কোম্পানির সবচেয়ে বড় ক্রুজ শিপ দি গ্র্যান্ড ক্ল্যাসিকার সেবাই পেতে যাচ্ছেন যাত্রীরা। এই জাহাজে যাত্রীর সংখ্যা কম হবে। ধারণ ক্ষমতার ষাট ভাগ যাত্রী বহন করবে। যাতে করোনাভাইরাসের এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সময় কাটাতে পারেন যাত্রীরা। কোম্পানির সিইও আরও জানান, প্রাথমিকভাবে কেবল একটি ক্রুজ শিপই চলাচল করবে। তাও কেবল গ্র্যান্ড বাহামা আইল্যান্ডে। তবে বাহামার নাসাউ দ্বীপেও শিগগিরই সেবা চালু করতে যাচ্ছে তারা।
নির্ধারিত সময়ে ক্রুজ শিপ সেবা চালু করতে পারলে বাহামা প্যারাডাইজই প্রথম কোম্পানি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাত্রা করবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে। আরও বড় বড় ক্রুজ শিপ কোম্পানিগুলো এখনো সেবা চালু করার কোনো পথ খুঁজে পায়নি। কোনো পরিকল্পনাও নেই তাদের।
এদিকে ইউরোপে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ায় ট্যূরিস্ট নিয়ে ক্রুজ শিপ যাত্রা করতে পারছে না। বিভিন্নি দেশেই কঠোর নিয়ম আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যেও যেসব শিপ সমুদ্রে গিয়েছে তারা আর তীরে ফিরতে পারছে না। মাল্টার একটি শিপে করোনাভাইরাস রোগী থাকার সন্দেহে সেই শিপকে আর তীরে ভিড়তে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। তবে প্রয়োজনীয় মালামাল সরবরাহ করা হচ্ছে।
Leave a Reply