দেশের মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হলো ৩৩তম স্প্যান। এর ফলে এখন মূল সেতু চার হাজার ৯৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। আর এটি বসানো হলো ৩২তম স্প্যান বসানোর মাত্র আট দিনের মাথায়। এখন বাকি রইল মাত্র আটটি স্প্যান।
সেতু-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৩৩তম স্প্যানটি গতকাল সকাল সোয়া ৯টায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনে তোলা হয়। পরে মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যেই এটি সেতুর পিলার দুটির কাছে পৌঁছায়। এরপর দেশি-বিদেশি প্রায় ২০০ শ্রমিক ও প্রকৌশলীর প্রচেষ্টায় দুপুর ১২টায় স্প্যানটি পুরোপুরি বসাতে সক্ষম হন। পদ্মা সেতুর ব্যবস্থাপক ও নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের জানান, চলতি বছরের ১০ জুন ৩১তম স্প্যানটি শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ-রুটের মাঝ চ্যানেলে সেতুর জাজিরা প্রান্তের ২৫ ও ২৬ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছিল। করোনা ভাইরাস ও বন্যার বিরূপ পরিস্থিতিতে সেতুর অন্যান্য কাজ চললেও এরপর আর কোনো স্প্যান বসানো হয়নি। এরই মধ্যে পদ্মায় পানি কমতে শুরু করায় এ মাসেই দুটি স্প্যান বসানো হলো। চলতি মাসেই সেতুর ৭ ও ৮ নম্বর ও ৮ ও ৯ নম্বর পিলারোর ওপর ৩৪ ও ৩৫তম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতুর অবকাঠামো। এরপর একে একে বসানো হয়েছে ৩৩টি স্প্যান। ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। সব কটি পিলার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)। আর নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
Leave a Reply