1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ঝালকাঠি থেকে ১১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী ১০ দেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী পরিবহন তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

খোরাকি ভাতা  নিয়ে নৌযান শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা

পোর্ট এন্ড শিপিং রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০
টানা  তিন দিনের ধর্মঘটের পর নৌযান শ্রমিকদের ১১দফা দাবির মধ্যে মাত্র একটি দাবি খোরাকি ভাতা দিতে রাজি হয়েছে মালিকপক্ষ। কিন্তু এই খোরাকি ভাতার পরিমাণ নিয়ে ক্ষুব্ধ ও হতাশ নৌযান শ্রমিকরা। তারা কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভ ও কষ্টের কথা প্রকাশ করে চলেছেন। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীও নৌযান শ্রমিকদের দাবিকে যুক্তিসংগত বলে মত দিয়েছেন।
নৌযান শ্রমিক নেতারা মালিকপক্ষের সঙ্গে যে চুক্তিতে সই করেছেন তাতে দেখা যায়, ১০০০টন ধারণ ক্ষমতার জাহাজের  শ্রমিকরা খোরাকি ভাতা পাবেন ১০০০টাকা। ১৫০০টন পর্যন্ত জাহাজের শ্রমিকরা পাবেন ১২০০টাকা। ১৫০০ টনের বেশি ধারণক্ষমতার জাহাজ শ্রমিকরা পাবেন ১৫০০টাকা মাসিক খোরাকি ভাতা। অবশ্য ধর্মঘট শুরুর দিনই বসুন্ধরা গ্রুপসহ বৃহৎ তিনটি শিল্পগ্রুপ তাদের জাহাজের শ্রমিকদের জন্য ২০০০টাকা মাসিক খোরাকি ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয়। শ্রমিকরা বলেছেন, বিভাজন না করে সবার জন্য সমান ২০০০ টাকা ভাতা দিলেও এই দু:সময়ে জীবনটা বাচত।
একজন শ্রমিক লিখেছেন, বড় জাহাজের শ্রমিকদের পেট কি বড়? ছোট জাহাজের শ্রমিকরা কি কম খায়? আন্দোলনে নামিয়ে আমাদের অপমান করা হয়েছে। তারা ভবিষ্যতে চাদা চাইতে এলে শ্রমিক নেতাদেরও অপমানজনক অবস্থায় পড়তে হবে বলে জানান।
আরেক নৌযান শ্রমিক ফেসবুকে লিখেছেন কষ্টের কথা। তিনি লিখেছেন, আপনি একজন জাহাজের মালিক, আর আমি আপনার জাহাজের শ্রমিক। এবার আপনি ভেবে দেখুন আপনার এই কোটি টাকার জাহাজটা আপনি পানিতে রেখে, নিশ্চিনতে এসি রুমে ঘুমিয়ে থাকেন। একবার ভেবে দেখুন তো দিনে কতবার আপনি ঐ জাহাজের খবর নেন। কিন্তু একজন শ্রমিক যতক্ষণ পর্যন্ত চাকরিতে থাকে ২৪ টা ঘন্টা জাহাজের খবর রাখে।
জুন-জুলাই মাস আসলে সাগরের ঢেউ দেখলে বাড়ির প্রিয়জনের মুখটা দেখার আশাটুকু হারিয়ে যায়। ঘাট প্লেজ ও মাদার ভেসেল যাওয়ার এক একটা মোটা মোটা রশি টানতে টানতে হাতের চামড়া ফেটে যায়। কখনো খেয়ে না খেয়ে কাজ করতে হয়। ঘাটে গেলে লেবার এর ঝামেলা, প্রতিটা ট্রিপে রক্ত না ঝড়িয়ে ট্রিপ দেওয়া হয়না। সারাদিন পরিশ্রম করে রাতে একটু ভালো করে  ঘুমাতে পারিনা। কারণ, আপনার ১৫ কোটি টাকার জাহাজে ৫০০ টাকার একটা ফ্যান নাই, ১০০ ওয়াট একটা বালভ নাই। আলো জ্বালাবো তার কোনো ব্যবস্থা নাই। তার তুলনায় শ্রমিক হিসেবে আমাকে কত টাকা বেতন দিচ্ছেন? সামান্য খোরাকী ভাতাটা দিতে আপনার কেনো এতো কষ্ট লাগে? শ্রমিকের রক্ত জড়ানো টাকা দিয়ে আপনি আপনার পিছনে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা খরচ করতে পারেন কিন্তু একজন শ্রমিককে সারা মাসে ৩০০০ টাকা খোরাকী ভাতা দিতে পারেন না। কাল হাশরের ময়দানে আল্লাহর কাছে কি জবাব দিবেন?

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT