আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সড়ক নেটওয়ার্কে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। নিরাপদ ও ভ্রমণবান্ধব সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সরকারের অগ্রাধিকার। টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট্য-এসডিজি অনুযায়ি সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ ভাগ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এবং জাতিসংঘ ঘোষিত দ্বিতীয় বারের মতো ডিকেড অভ একশন ফর রোড সেফটির লক্ষমাত্রা অর্জনে আইনগত কাঠামো শক্তিশালী করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় আইনগত কাঠামোর সাথে সমন্বয় করে ন্যাশনাল রোড সেফটি স্ট্র্যাটেজিক এ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে তিনি গতকাল ‘রোড সেইফটি কোলাবোরেশন, রিডিউসিং রোড ফ্যাটিলিটিজ ফিফটি পারসেন্ট বাই টুয়েন্টি থার্টি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। ব্র্যাক-বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
পুরুষদের তুলনায় মহিলা গাড়ি চালকরা অধিক সাবধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার মহিলা গাড়ি চালক তৈরির সুযোগ বাড়াচ্ছে। নারী গাড়ি চালক তৈরির কার্যক্রম ব্র্যাক-ই প্রথম শুরু করে। গাড়ি চালনায় পুরুষদের তুলনায় নারীরা অধিক সাবধান এবং ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই সরকার অধিকসংখ্যায় নারীচালকের সংখ্যা বাড়াতে চায়।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধ তথা মৃত্যু হার অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে বেসরকারি পর্যায়ে ব্র্যাক ও বিশ্ব ব্যাংকের এই যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ যুক্ত হলে এসব সেক্টরে যে কোন লক্ষ্য অর্জন সহজতর হবে।
এসময় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বিশ্ব ব্যাংকের এক্টিং কান্ট্রি ডিরেক্টর ফর বাংলাদেশ এন্ড ভুটান মিজ দান্দান চেন, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ, ব্র্যাক রোড সেফটি প্রোগ্রাম পরিচালক আহমেদ নাজমুল হোসেইন, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট দীপন বোস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply