1. paribahanjagot@gmail.com : pjeditor :
  2. jadusoftbd@gmail.com : webadmin :
মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হলেন স্টার লাইনের হাজী আলাউদ্দিন তরুণরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নামুক আবার পেট্রোনাস লুব্রিক্যান্টস বিক্রি করবে মেঘনা পেট্রোলিয়াম অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশে ভারতীয় সব ভিসা সেন্টার বন্ধ মন্ত্রী এমপিদের দেশত্যাগের হিড়িক : নিরাপদ আশ্রয়ে পালাচ্ছেন অনেকেই বাস ড্রাইভার নিকোলাস মাদুরো আবারও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট ইউএস-বাংলার দশম বর্ষপূর্তি : ২৪ এয়ারক্রাফট দিয়ে দেশে বিদেশে ২০ গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী পরিবহন তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বিশ্বখ্যাত মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রয়েল এনফিল্ড খুব শিগগিরই বাজারে আসছে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী এমটি কনসার্টো জাহাজে বাংলাদেশী নাবিকের মৃত্যুর তদন্ত দাবি

দখল দূষণে বিপন্ন-বিপর্যস্ত কাপ্তাই লেক : ৬০ বছরেও ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ নেই

টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২০

দখল ও দূষণের কবলে কাপ্তাই হ্রদ। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম জলরাশি। ১৯৬০ সালে পানি বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে খড়স্রোতা কর্ণফুলী নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে সৃষ্টি করা হয় এ হ্রদ। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের রাঙামাটিতে অবস্থিত এ হ্রদ। রাঙামাটি জেলার অহঙ্কার কাপ্তাই হ্রদ। এ হ্রদের আয়তন ৭২৫ বর্গ কিলোমিটার। বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদন, নৌ-যোগাযোগ, জলেভাসা জমিতে কৃষি চাষাবাদ, সেচ ব্যবহার্য্য, পানি সরবরাহ, পর্যটনসহ নানা সুযোগ ও সম্ভাবনা গড়ে ওঠে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ ঘিরে। এতকিছু সম্ভবনার পরও দীর্ঘ ৬০ বছরে কাপ্তাই হ্রদের কোনো সংস্কার, ড্রেজিং বা খনন করার উদ্যোগ নেয়নি কেউ। তাই কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে হ্রদের নাব্যতা। পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে হ্রদের তলদেশ। ফলে হ্রদের গভীরতা হ্রাস পেয়েছে আশঙ্কাজনক হারে। অভিযোগ রয়েছে, বছরের পর বছর যেমন রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিং হয়নি, তেমনি হ্রদের সীমানাও নির্ধারণ করা হয়নি। তাই কাপ্তাই হ্রদ ঘিরে দখল দূষণের মহোৎসবে মেতেছে কেউ কেউ। হ্রদের পাড় দখল করে গড়ে উঠছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। নির্মাণ করা হয়েছে বহুতল ভবনও। এসব অবৈধ স্থাপনার মধ্যে বেশির ভাগই ঝুঁকিপূর্ণ। হ্রদ ঘেঁষে পাহাড়ের পাদদেশে এবং ভাসমান টিলায় আশেপাশে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার বসতি। তাই নৌ-পরিবহন, বিদ্যুৎ ও মৎস্য উৎপাদনসহ হ্রদের অস্থিত্ব রক্ষা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা শঙ্কা। শুধু তাই নয়, বছরের পর বছর ধরে নামা পাহাড়ি ঢলে পলি এবং হাজার হাজার টন বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাচ্ছে হ্রদের তলদেশ। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা হ্রদের আশপাশে গড়ে তুলেছে স’মিল, মিলিং মিল, ফিলিং স্টেশন, জেটিঘাট, বাস ও ট্রাক টার্মিনাল, হোটেল, বাসাবাড়ি, রেস্তোঁরা। এসব স্থাপনার অসংখ্য বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা পড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে। ফলে মারাত্মক দূষণের শিকার হচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি। তবে কাপ্তাই হ্রদের সীমানা নির্ধারণ করা গেলে অবৈধ স্থাপনা সহজে উচ্ছ্বেদ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন রাঙামাটি পৌরসভা মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধূরী। তিনি জানান, দীর্ঘ বছর ধরে হ্রদ ঘেঁষে উভয় তীরে অনেকটা বেপরোয়াভাবে গড়ে উঠছে বিভিন্ন বসতি। এসব কারণে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে হ্রদটি। কাপ্তাই হ্রদ জুড়ে যেসব স্থাপনা গড়ে উঠেছে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। তবে সংশ্লিষ্টদের নজরদাড়ি থাকলে নতুন করে কোনো স্থাপনার নির্মাণ কাজ বন্ধ করা যাবে। এদিকে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে জুড়ে অবৈধ স্থাপনাগুলোর বর্জ্য নিক্ষেপ, মল-মূত্র ত্যাগসহ নানা কারণে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি ও পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটছে বলে দাবি পরিবেশবাদী মোহাম্মদ আলী।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© 2020, All rights reserved By www.paribahanjagot.com
Developed By: JADU SOFT